করোনাভাইরাসের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ বিকেল ৩টা থেকে নড়াইল জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন চলবে। এ সময় নড়াইল জেলার সাথে অন্য জেলা এবং জেলার এক উপজেলার জনসাধারণ অন্য উপজেলায় যাতায়াত করতে পারবেন না। এ ছাড়া যেকোনো গণপরিবহন ও জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকবে। তবে জরুরি পরিসেবা চালু থাকবে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেন, লকডাউন কার্যকরে সবাইকে আন্তরিক হতে হবে। যে যার অবস্থান থেকে লকডাউন মেনে চলবেন। ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন। এ ছাড়া করোনাকালের শুরু থেকে পুলিশ কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। লকডাউন চলাকালেও আমরা আন্তরিক ভাবে কাজ করে যাবো।
সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল মোমেন জানান, এ পর্যন্ত জেলায় সাত চিকিৎসকসহ ১৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে সৈয়দ সুজন (২৫) নামে এক যুবক সুস্থ হয়েছেন। অন্যরা চিকিৎসাধীন। করোনাক্রান্তদের মধ্যে-নড়াইলের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের দুই এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের একজন চিকিৎসক রয়েছেন। অন্যরা লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক।
এছাড়া করোনাক্রান্তদের মধ্যে নড়াইল জেলা প্রশাসকের গোপনীয় সহকারী (সিএ) ও লোহাগড়া পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রয়েছেন। এক্ষেত্রে কালিয়া উপজেলা এখনো করোনামুক্ত আছে। জেলায় প্রথম করোনা রোগি সনাক্ত হয় লোহাগড়া উপজেলায়। তবে প্রথম আক্রান্ত করোনা রোগি সৈয়দ সুজন বাড়িতে থেকেই এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেন।
জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা জানান, করোনাভাইরাসে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতার সঙ্গে মোকাবেলা করতে হবে।