রফিক সালম বরকত জাব্বার শফিক কত অজানা ভাষা সৈনিক নিজ মাতৃভাষাকে উদ্ধারে প্রাণ দিয়েছেন। রক্ত দিয়ে উদ্ধার করেছেন প্রিয় মাতৃভাষা বাংলাকে। তেমনি ভয়াবহ প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস কাঁপিয়ে দিয়েছে সারা বিশ্বকে। কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ প্রিয় মাতৃভূমিকে। কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল ভোলাহাট উপজেলার আনাচেকানাচে সব গ্রামকে। কর্মহীন হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ। দরিদ্র, নিম্নবৃত্ত, মধ্যবিত্ত সবাই যেন হাহাকারে। কর্মহীন মানুষ ও তার পরিবার কাজ চাই। কিন্তু কাজ তো কেড়ে নিয়েছে মহামারী ভাইরাস। তাই কর্মহীন গোটা দেশ। কর্মহীন মানুষ ভাত চাই। তারা বাঁচতে চাই। মানুষের এমন হাহাকারে করোনা যুদ্ধ প্রতিরোধে ভোলাহাট উপজেলার ধরমপুর গ্রামের ধরমপুর ছাত্র কল্যাণ সমিতির ব্যানারে মানবতার দূত হিসেবে এক ঝাঁক চাকুরিজীবি, ব্যবসায়ী, ছাত্র, শিক্ষক, বেকারসহ বিভিন্ন পেশাজীবিরা দাঁড়ীয়ে গেলে নিজ গ্রামের দূর্দিনে কাবু হওয়া অসহায় মানুষগুলোর পাশে। অন্তত তাদের নিজস্ব উদ্যোগে নিজ গ্রামটা ভালো থাকুক। গ্রামবাসির পাশে এ মানবতার দূত ছুটে গেছেন চাল ডাল লবণ সাবানসহ ভালোবাসা নিয়ে। ধমরপুর গ্রামের মানবতার দূত মাষ্টার সেলিম, নাসির, আহসান হাবিব, মহিউদ্দিনসহ একাধিক বিভিন্ন পেশাজীবিরা এ সংগঠনের ব্যানারে ছুটে বেড়ান নিজ গ্রামের মানুষকে ভালোবাসা দিতে। তাদের ভালোবাসায় গ্রামবাসির ভালো থাকাটাই উদ্দেশ্য। গ্রামের মানুষিকে ত্রাণ দিয়ে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হতে রক্ষা পেতে সবাইকে সরকারি নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শ প্রদান করছেন তারা। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ব্যক্তিদের নিয়মিত খোঁজ-খবর নেয়া। রমজান মাসেও নেয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থ্যা। যে সব মান্ষু দিন আনে দিন খাই তাদের বেহাল অবস্থা। কেউ অর্ধবেলা খেয়ে কেউ বা সারাদিন না খেয়ে কোনরকমে জীবন যাপন করছেন। এদিকে কিছু নিম্নবৃত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত লোকলজ্জায় অভাবের কথা বলতেও পারছেনা ধুকে ধুকে মরছেন। সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করছে তাদের পাশে থাকার। কিন্তু প্রান্তিক পর্যায়ে সকল মান্ষুকে সাহায্য করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান এ সংগঠনের। তারা বলেন, প্রত্যেকে যদি নিজ নিজ গ্রামে তাদের মত এগিয়ে আসলে করোনা প্রতিরোধে সরকারের সহায়তার দিকে তাকাতে হবে না। সবাইকে নিজ নিজ গ্রামে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দূর্দিনে পাশে দাঁড়ানোর আহবান মানবতার দূত এ এক ঝাঁক।
সংগঠনটি"ধরমপুর ছাত্র কল্যাণ সংস্থা"শুরু করেছে প্রায় ৮৬ টির অধিক নিম্ন আয় ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারকে ৫ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু ও অর্ধকেজি পিঁয়াজ বিতরনের মধ্যদিয়ে শুরু করেছে। ত্রান বিতরনের পাশাপাশি গ্রামের কারো মধ্যে যদি করোনার লক্ষণ দেখা দেয়, তবে তার প্রাথমিক চিকিৎসার সকল দায়িত্ব নিবে এ সেচ্ছাসেবী সংগঠন"ধরমপুর ছাত্র কল্যাণ সংস্থা"। সংগঠনের দায়িত্বশীলদের মধ্যে রয়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবি। সংগঠনের সদস্যরা নিজ নিজ গ্রামে তাদের মত সংগঠন তৈরী করে মহামারী এ দূর্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহবান জানান। তারা আরো বলেন, সংগঠনটি চাল বিতরন, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন কাজের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের মাধ্যমে তাদের মত সমাজের অন্যান্যের এগিয়ে আসার উৎসাহ দেয়ার কথা জানান তারা।