করোনা পরিস্থিতিতে রংপুর মহানগরীতে কর্মহীন অসহায় ও দুস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন জাতীয় পার্টির সহযোগী সংগঠন যুব সংহতির রংপুর মহানগর সভাপতি শাহিন হোসেন জাকির। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে নগরীতে তিন হাজার পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। এছাড়াও করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে তিনি যুব সংহতির নেতাকর্মীদের নিয়ে জনসচেতনতা মূলক কার্যক্রম চালিয়েছেন।
তিনি গত ২৭ মার্চ থেকে নগরীর বাবুখা, পাবর্তীপুর, কুকরুল, মীরগঞ্জ, শালবন, শিয়ালুর মোড়, কামারপাড়া, ইন্দারমোড়, বাহার কাছনা, আর্দশপাড়া, রঘু বাজারসহ ৩৩টি ওয়ার্ডের বিভিন্নস্থানে চাল, ডাল, আলু, আটা, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। এই খাদ্য বিতরণ কাজে তাকে মহানগর যুব সংহতির নেতাকর্মীরা সহযোগিতা করেন।
যুব সংহতির নেতাকর্মীরা জানান, শাহিন হোসেন জাকির রংপুর যুব সমাজের অহংকার। তিনি করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে যেভাবে অসহায় দুস্থদের পাশে দাড়িয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তার মতো একজনকে আমরা সভাপতি হিসাবে পেয়ে গর্বরোধ করছি। তিনি শুধু অসহায় মানুষের পাশে দাড়াননি। সেই সঙ্গে জাতীয় পার্টি ও যুব সংহতির নেতাকর্মীদের পাশেও দাড়িয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, তৎকালীন স্থানীয় সরকার,পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী, বর্তমান জাতীয় পার্টির মহাসচিব, বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ ও গঙ্গাচড়া আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য মশিউর রহমান রাঙ্গার এপিএস হিসাবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন শাহিন হোসেন জাকির। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে রাঙ্গার সঙ্গে রয়েছেন। এ কারণে রংপুরের জাতীয় পার্টি, যুব সংহতি ও ছাত্র সমাজসহ সর্বস্থরের নেতাকর্মীদের সাথে গড়ে উঠেছে তার নিবিড় সর্ম্পক। দীর্ঘদিন ধরে নেতাকর্মীদের সূখে-দুখে সব সময় পাশে ছিলেন। এখনও আছেন। এসব বিবেচনায় তাকে প্রথমে রংপুর মহানগর যুব সংহতির আহ্বায়ক হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি সম্মলনের মাধ্যমে মহানগর যুব সংহতির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পান। ইতিমধ্যেই তার নেতৃত্বে মহানগর যুবসংহতি এখন সাংগঠনিকভাবে অনেক শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
এবিষষে মহানগর যুব সংহতির সভাপতি শাহিন হোসেন জাকির বলেন, পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ সব সময় অসহায়, দুস্থ ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে ছিলেন। তার আদর্শ অনুসরণ করে আমিও মানুষের পাশে দাড়িয়েছি। ‘মানুষদের জন্য কিছু করতে পারা আনন্দের। বিশেষ করে, করোনার এ বিপদ তাদের পাশে দাঁড়াতে পেরে মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত নিজস্ব অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা ও রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তাফার দিক নির্দেশনা ও পরামর্শ মেনে চলছি। যুবসংহতিকে আরও শক্তিশালী করতে সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করছি।