ফেরদৌস বেগম মুন্নী। তিনি সাবেক তিন বারের সফল কাউন্সিলর। চট্টগ্রামের অনেক নারী নেত্রী এই মুহুর্তে বিলাসিতায় ব্যস্ত। অথচ তিনি মানবসেবায় ঝুঁকি নিয়ে এখন মাঠে আছেন। মানুষের বাসায় বাসায় খাবার পৌঁছে দিচ্ছেন। খবর নিচ্ছেন নিয়মিত। মানুষের সমস্যা মোকাবেলায় তিনি যথেষ্ট আন্তরিক। করোনা ভাইরাসের কারণে আজ সারা বিশ্বের মানুষ চরম আতঙ্কিত। অভাবের বাজনা বেজে উঠেছে চারদিকে। হাহাকার আর হাহাকার। দেশ কিংবা বিদেশ। সবখানেই একই অবস্থা। কিন্তু মানুষের ওই কষ্ট দেখে নিজ বাসায় নিরব থাকতে পারলেন না এই কাউন্সিলর। মাঠে নেমে অসহায় লোকজনের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ শুরু করে দিলেন। যা এখনো অব্যাহত রেখেছেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১, ২, ৩ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থীও তিনি। ফেরদৌস বেগম মুন্নী একজন সফল নারী রাজনীতিবিদ হিসেবেও খ্যাতি পেয়েছেন। রাজনীতির অর্থ মানুষকে ভালবাসা-এটার উদাহরণও তিনিই সৃষ্টি করেছেন। কারণ; তাঁর মধ্যে কোনো লোভ-হিংসা এবং অত্যাচারী মনোভাব নেই। এজন্য তাঁর নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে তিনি আলোচিত। সবাই বলছেন-এমন ত্যাগী কাউন্সিলরই আমাদের প্রয়োজন। যাকে অতীতেও পাওয়া গেছে, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতেও পাওয়া যাবে। মানবসেবায় তাঁর অবিরাম পথ চলাকে অনেকেই সাধুবাদ জানিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, ফেরদৌস বেগম মুন্নী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই চট্টগ্রাম শহরের ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী, ২নং জালালাবাদ, ৩নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের মানুষদের মাঝে এই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছেন। কোথাও কোথাও ত্রাণের সঙ্গে নগদ টাকাও প্রদান করছেন তিনি। যা এখনো অব্যাহত আছে। দফায় দফায় এই ত্রাণ বিতরণের সময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দরাও উপস্থিত ছিলেন। করোনা ভাইরাসের পর থেকে এই পর্যন্ত অন্তত ত্রিশ লক্ষ টাকার ত্রাণ সামগ্রী এবং নগদ টাকা বিতরণ করেছেন। ঈদের আগে আবার কয়েক দফায় মানুষকে সহযোগিতার পরিকল্পনা নিয়েছেন তিনি। ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলীর মনোয়ারা বেগম নামের এক নারী শিক্ষিকা বলেন, ফেরদৌস বেগম মুন্নী। সাবেক তিন বারের সফল কাউন্সিলর। তাঁর পূর্ব অভিজ্ঞতা যথেষ্ট রয়েছে। আওয়ামী লীগের দলীয় পুর্ণ সমর্থন থাকায় মানবসেবায় নানাকাজ সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এর আগেও তিনি মানুষের যে কোনো বিপদে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। এজন্য এলাকার বিপুল সংখ্যক মানুষের আন্তরিক ভালবাসাও রয়েছে তাঁর প্রতি। আবার দল এবং দলের বাইরেও তাঁর বিশাল জন সমর্থন তৈরী হয়েছে। সবার ভালবাসাকে পুঁজি করে তিনি আবারো নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়ে যাবেন বলে ভোটারদের অনেকেই মনে করছেন।
উক্ত ওয়ার্ডের ভোটাররা জানান, ফেরদৌস বেগম মুন্নী বিগত সময়ে কাউন্সিলর হয়ে কোনো প্রকার দুর্নীতি এবং অনিময় করেননি। বরাবরেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ছিলেন। নাগরিকদের সেবায় ব্যস্ত সময় পার করেছেন। লোভ-লালসা ত্যাগ করে তিনি মানুষের যে কোনো সমস্যা সমাধানে যথেষ্ট আন্তরিক ছিলেন। কিংবা বিপদের সময়ও এগিয়ে গেছেন; সমবেদনা জানিয়েছেন। একজন নারী কাউন্সিলর হয়ে কিভাবে সফল হওয়া যায়, কিংবা নিজের জনপ্রিয়তা বাড়ানো যায়? তাঁর বাস্তব উদাহরণ হচ্ছেন ফেরদৌস বেগম মুন্নী নিজেই। ন্যায় বিচার বঞ্চিত নারীদের আপন জন ফেরদৌস বেগম মুন্নী গরীব মেয়ের বিয়ে, চিকিৎসা, লেখাপড়ায়, স্কুল-কলেজ, মসজিদণ্ডমাদ্রাসা এবং সামাজিক সংগঠনে সাধ্যমত আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। যে কোনো শ্রেণির মানুষের সাথে ব্যবহারে তাঁর অহংকারও নেই। মানুষের কল্যাণে বেশকিছু ভাল কাজ করছেন তিনি। সময়ও দিচ্ছেন। এসব কারণে তিনি সবার কাছে আলোচিত ও জনপ্রিয়।
এলাকাবাসী জানায়, সাধারণ মানুষের বিশ্বস্ত এই ফেরদৌস বেগম মুন্নী গত দুই যুগ ধরে সামাজিক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে তিনি স্বীকৃতি স্বরূপ বেশকিছু সম্মাননা পদকও পেয়েছেন। মাদক, যৌতুক ও বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে তিনি ধারাবাহিকভাবে কাজ করছেন। ফলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। ওদিকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সাথে ফেরদৌস বেগম মুন্নীর সু-সম্পর্ক রয়েছে। নিজের সততা, কঠোর পরিশ্রম এবং মনোবল থাকায় অনেক বাধাকে তিনি অতিক্রম করেছেন। সম্মানও পাচ্ছেন। শুধুমাত্র মানুষকে ভালবেসে আরো এগিয়ে যেতে চান তিনি। এলাকাবাসীর মতে, ফেরদৌস বেগম মুন্নীর অবস্থা অনেক ভাল। তিনি এবারো সবার দোয়া নিয়ে বিজয়ের শেষ হাসি হাসবেন। এজন্য সবাইকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
বুধবার দুপুরে শীর্ষ অনলাইন নিউজ এজেন্সি এফএনএস টুয়েন্টিফোর ডটকমকে দেয়া এক প্রতিক্রিয়ায় সফল কাউন্সিলর ফেরদৌস বেগম মুন্নী বলেন, ইনশাআল্লাহ যে কোনো পরিস্থিতিতে জনগণের পাশে থাকবো। আবারো সুযোগ পেলে আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষের নাগরিক সুবিধা আরো উন্নত করবো। আমি সন্ত্রাস ও দুর্নীতিকে ঘৃণা করি। এজন্য মানুষও আমাকে খুব ভালবাসেন। অতীতে কারো প্রতি জুলুম-নির্যাতন করিনি। ভবিষ্যতেও প্রয়োজনে মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন বিলিয়ে দিবো। আমার শেষ ঠিকানা এলাকার জনগণ। মানুষকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবো। মহান আল্লাহর কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তিনি আমাকে যথেষ্ট সম্মান দান করেছেন। ওই মিডিয়ার মাধ্যমে আমি সবার কাছে দোয়া এবং আন্তরিক ভালবাসা চাই।