নড়াইলের কালিয়া উপজেলার জোকাণ্ডধুসাহাটি গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ৮ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে কালিয়া থানার কনস্টেবল (পুলিশের গাড়ির চালক) আতিকুর রহমান (৩২) বাম হাতে টেটাবিদ্ধ হন। পরে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি দিয়ে কেটে কেটে টেটা বের করা হয়। আহত পুলিশ সদস্যকে কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৭ রাউন্ড সটগানের ফাঁকা গুলিবর্ষণ করে। এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের ৮জনকে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত কোনো পক্ষই মামলা দায়ের করেনি।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়া অঞ্চল) রিপন চন্দ্র সরকার জানান, পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া বিবাদমান দুইপক্ষের কেউ এখনো পর্যন্ত মামলা করেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের (ইউপি) জোকাণ্ডধুসাহাটি গ্রামের এম এম পাভেল গ্রুপের সাথে ইউপি মেম্বার রিংকু শেখ গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এর জের ধরে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উভয়পক্ষ ঢাল, সড়কি, টেটাসহ ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় সালামাবাদ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পাভেল গ্রুপের মোহাম্মদ আলীকে (৪৫) কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে প্রতিপক্ষরা। এ ছাড়া একই গ্রুপের এনায়েত শরীফ (৫৫) ও কুদ্দুস শরীফ (৬০) আহত হয়েছেন। এর মধ্যে গুরুতর আহত আলীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ছাড়া দুইপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর এবং কলাসহ অন্যান্য গাছ কেটে ফেলার ঘটনা ঘটেছে।
এ সংঘর্ষের জন্য প্রতিপক্ষের লোকজন একে অপরকে দায়ী করেছে।