নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৮জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাদেরকে পুলিশ এসাল্ট মামলায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় গ্রেফতার এড়াতে পুটিমারী ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-ওই গ্রামের মোতালেব, আনোয়ারুল, নাজমুল, মজনু, রবিউল, সাহেবআলী, রাজ্জাক ও শাহীন।
জানা গেছে, চাড়ালকাটা নদীর খনন কাজের বালু ময়দান সংলগ্ন জমিতে রাখতে না দেয়ায় বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ধূর্তামির আশ্রয় নেয়। ওই জমির মালিকানা নিয়ে কৌশলে কালিকাপুর ময়দান কমিটির লোকজনের সঙ্গে তছলিমের বিবাদ সৃষ্টি করে দেয়। সোমবার দুপুরে বিবাদমান জমিতে নদীর বালু স্তুপের জন্য ভেকুমেশিন দ্বারা বাঁশ ও গাছের গোড়া তুলছিল। এতে বাধা না মানায় জমির মালিক তছলিম ৯৯৯ এ ফোন দেয়। এসআই ওহাব ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর উভয় পক্ষের লোকজনের ধাক্কা-ধাক্কিতে ইলিয়াছ নদীতে পড়ে য়ায়। ময়দানের বিপক্ষে পুলিশের অবস্থানের কথা বলে বালু সিন্ডিকেটের লোকজন এসআই ওহাবকে লাঞ্চিত করে। সংবাদ পেয়ে ফোর্সসহ ওসি তদন্ত ঘটনাস্থলে পৌছলে অসুস্থ মহিলাকে পুলিশ লাঠিপেটার গুজবতুলে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়। এলাকাবাসি উত্তেজিত হয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালালে ওসি তদন্তসহ দুইজন আহত হন। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তির পর পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মফিজুল হককে রংপুর মেডিকেলে স্থানান্তর করা হয়। এঘটনায় এজাহার নামীয় ২৫ ও অজ্ঞাতনাম ১৫শ’জনকে আসামি করে পুলিশ মামলা করেন। পরে বিভিন্ন স্থান থেকে পুলিশ ৮জনকে আটক করায় গ্রেফতার আতঙ্কে কালিকাপুর গ্রাম পুরুষশূন্য হয়ে যায়। কিশোরগঞ্জ থানার ওসি এম হারুন অর রশিদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একটি অবৈধ বালু ব্যবসায়ী চক্র স্বার্থ হাসিলের জন্য পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীধের আইনের আওতায় আনা হবে।