কুড়িগ্রামের রাজারহাটে একই পরিবারের ৭জনের মধ্যে ৬জনেরই করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ১লা মে শুক্রবার কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তারা সকলে উপজেলার রাজারহাট সদর ইউনিয়নের মাধাই পাঠানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। সন্ধ্যায় রাজারহাট থানা পুলিশ ওই বাড়িটি লকডাউন ঘোষনা করে।
কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা: হাবিবুর রহমান জানান, গত ২৬এপ্রিল করোনা ভাইরাসে যুবক(২৬), তার ১৬বছর বয়সী শ্যালক ও ৫বছরের কন্যাসন্তান আক্রান্ত হয়েছিল। সে কারণে ওই দিনই পরিবারের অপর সদস্যদের নমূনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন রাজারহাট মেডিকেল টিম। ১লা মে শুক্রবার সন্ধ্যায় ফলাফল আসলে ওই পরিবারের আরো ৩জনের শরীরে কোভিড’১৯ এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরা হলো আক্রান্ত যুবকের শ্বাশুড়ী(৪৫), শ্যালিকা(১৭) ও তার ৯বছরের শিশু পুত্র।
এব্যাপারে রাজারহাট সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার বিপ্লব আলী জানান, আক্রান্ত যুবকটির বাড়ি মুলত কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নতুন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন। তার শ্বশুরবাড়ি রাজারহাট উপজেলার মাধাই মৌজার পাঠানপাড়ায়। সম্প্রতি কেরানীগঞ্জ থেকে শ্বশুরবাড়ি আসার পরপরই সেখান থেকেই রাজারহাট মেডিকেল টিম তাদের নমুনা সংগ্রহ করলে তাদের শরীরে কোভিড’১৯ এর অস্তিত্ব মেলে। ১লা মে শুক্রবার একই সঙ্গে কুড়িগ্রাম জেলায় আরো ৪জনের আক্রান্ত হওয়ার ফলাফল পাওয়া যায়। এদের মধ্যে কুড়িগ্রাম সদরে ২জন, উলিপুরে ১জন ও চিলমারীতে ১জন। এ পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলায় মোট ১৮জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ কৃষ্ণ কুমার সরকার বলেন, ওই বাড়ীটি লকডাউন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহীনুর রহমান সরদার বলেন, আক্রান্ত ৩জনকেও তাদের বাড়ীতেই আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।