পীরগঞ্জে ধান কাটা নিয়ে সংঘর্ষে ইদ্রিস আলী (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। সংঘর্ষে মহিলাসহ ৬ জন আহত হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ ৬ জনকে আটক করেছে। গত শুক্রবার সকালে উপজেলার কুমেদপুর ইউনিয়নের রতে শ্বরপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও গ্রামবাসী জানায়, উপজেলার রতে শ্বরপুর গ্রামের একখন্ড খাস জমি নিজ দখলে নিতে ওই গ্রামের লুৎফর রহমান ও দুদু মিয়ার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। চলতি মওসুমে বিতর্কিত ওই জমিতে লুৎফর রহমান বোরো চারা রোপন করার ক’দিন পর দুদুর লোকজন তা উপড়ে ফেলে পুনরায় বেরো চারা রোপন করে এবং পরিচর্যা ও সেচ দেয়। ধান পাকার পর গত শুক্রবার ওই ধান কাটতে বিবদমান দু’পক্ষই ঘোষনা দিয়ে ভাড়াটে লোকজন নিয়ে আসে। দুদুর উপস্থিতির আগেই লুৎফরের লোকজন ধান কেটে বাড়িতে নেয়ার সময় দুদুর সমর্থকরা বাঁধা দেয়। ফলে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের ৭ জন আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় লুৎফরের ভগ্নিপতি চাঁপাবাড়ি গ্রামের ইদ্রিস আলীকে রংপুর মেডিকেলে নেয়ার পথে মারা যায়। আহতরা হচ্ছে রতে শ্বরপুর গ্রামের লুৎফর,পার্বতিপুর গ্রামের ইলিয়াস ও চাঁন মিয়া, মানিকের স্ত্রী শাপলা,হাজীপুর গ্রামের লুলুর স্ত্রী নারগিছ ও নিহত ইদ্রিসের স্ত্রী জহিরন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাবা-ছেলেসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করে। এরা হচ্ছে- রতে শ্বরপুর গ্রামের মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে আবু কালাম আকন্দ ও তার ছেলে রুবেল আকন্দ, মৃত হোসেন আলীর ছেলে আবদুল আজিজ, আবদুল বারির ছেলে আবু বক্কর, মৃত আজগারের ছেলে আবদুল জব্বার ও লাল মিয়ার ছেলে সুজা মিয়া। কর্মকর্তা ইনচার্জ সরেস চন্দ্র জানান, ইবরাহীম মিয়া বাদী হয়ে এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করেছে।