লক্ষ্মীপুরে করোনা আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ী ফিরেছেন বৃদ্ধসহ দুই জন। সুস্থ ব্যাক্তি দুইজন হলেন রামগতি উপজেলায় ইউনুস মাঝি (৫২) নামে এক বৃদ্ধ ও অপরজন হলেন ঢাকা থেকে আসা গার্মেন্স শ্রমিক রামগঞ্জের বাসিন্দা মোঃ খোরশেদ আলম (৩২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আবদুল মোমিন ও রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান।
ইউএনও আবদুল মোমিন বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসার পর ইউনুস মাঝির করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে করে চট্টগ্রাম বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। পরে ১২ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। অবশেষে সুস্থ হয়ে ১৭ দিন পর বাড়ি ফিরেছেন তিনি। করোনাযুদ্ধে জয়ী ইউনুস মাঝি রামগতি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সবুজগ্রাম এলাকার বাসিন্দা বলে জানান তিনি।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান জানান, করোনায় আক্রান্ত খোরশেদ আলম সুস্থ হয়ে শুক্রবার বিকাল ৩টায় ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে তার নিকটাত্মীয়ের বাসায় ফিরে গেছেন। তিনি বর্তমানে সুস্থ্য আছেন। মোঃ খোরশেদ আলম (৩২) উপজেলার ৬নম্বর লামচর ইউনিয়নের দাসপাড়া গ্রামে বাসিন্দা। ৬ এপ্রিল সে ঢাকা থেকে সামান্য জ্বর-সর্দি ও কাশি নিয়ে ফিরে আসে গ্রামে। নিজ বাড়ী থেকে কৌশলে চলে যান শশুরবাড়ী পাশ্ববর্তি কাশিমনগর গ্রামের মধুর বাড়ীতে। সেখান থেকে ঐদিনই তিনি রামগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিজের রক্তের নমুনা দিয়ে যাওয়ার ৪দিন পর ১১ এপ্রিল রাতে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাঁট বিআইটিআইডি (এনটিআইডিএইচআরআই) থেকে প্রাপ্ত তথ্যে খোরশেদ আলমের রক্তের নমুনায় ধরা পড়ে করোনা ভাইরাস। খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র খোরশেদ আলমের বাড়ীসহ লামচর ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের শশুরবাড়ী ও দাসপাড়ার নিজ বাড়ী লকডাউন ঘোষণা করা হয়।পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ স্থানীয় সাংসদ ড. আনোয়ার হোসেন খাঁনের দিকনির্দেশনায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকার কুয়েত মৈত্রি হসপিটালে প্রেরন করা হয়। পরে কুয়েত মৈত্রি হসপিটাল থেকে সুন্থ্য হয়ে শুক্রবার বিকাল ৩টায় খোরশেদ আলম ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে তার নিকটাত্মীয়ের বাসায় ফিরে গেছেন। তিনি বর্তমানে সুস্থ্য আছেন।
এদিকে জেলা সিভিল সার্জন জেলা সিভিল সার্জন আবদুল গফ্ফার জানান,জেলায় সদর-১৭ এবং কমলনগর উপজেলায় ১০ মাস বয়সের একজন শিশুসহ কমলনগর-৫, রামগতিতে ৫,রামগঞ্জে ১৬, জনসহ জেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ এ পৌঁছে।এর মধ্যে দুইজন রোগীকে ঢাকার কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকিদের জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে।এছাড়া জেলায় কোয়ারেন্টাইন আছেন ১৫১৯ জন আর আইসোলেশনে আছেন তিন জন। অপরদিকে লক্ষ্মীপুরকে লকডাউন ঘোষনার পর বুধবার পর্যন্ত ২০ তম দিন চলছে। এর হাট-বাজার, পাড়া মহল্লা আরো কঠোর কার্যকরি ব্যবস্থা নেয়া দরকার বলে এলাকাবাসী দাবী করেন।