ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখে পিরোজপুরের নাজিরপুরের এক মুজিব পাগল বাদশা’র পাশে দাঁড়ালেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম। শুক্রবার ১মে বিকালে তিনি (মন্ত্রী) তার (বাদশা) জন্য নগদ টাকা ও জামা-কাপড় পাঠালেন তার এক প্রতিনিধির মাধ্যমে। ওই বাদশা আকন (৫৫) উপজেলার কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মুগারজোর গ্রামের মৃত্যু আতাহার আকনের পুত্র। তিনি স্থাণীয়ভাবে ‘আওয়ামীলীগ বাদশা’ নামে পরিচিত। জানা গেছে, তিনি অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছিলেন। পারিবারিকভাবে অত্যান্ত অস্বচ্ছল। তাই তার করুন দশা দেখে স্থাণীয় যুবলীগ নেতা মো. সোহেল বাহাদুর গত মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তার ফেসবুক আইডি ‘এমডি সোহেল বাহাদুর’ থেকে বাদশার ২টি ছবি দিয়ে একটি ষ্ট্যাটাস দেন। সেই স্ট্যাটাসে লেখা ‘এই সেই আমাদের বাদশা ভাই, তিনি ৯নং কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন সাধারন কর্মী। আমার মনে হয় ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অনেকেই জানেন তিনি “আওয়ামীলীগ বাদশা” নামে পরিচিত। তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ এবং আর্থিক অভাব অনটনের কারণে ঠিকমতো চিকিৎসা করতে পারছেন না। আপনাদের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি’। শুক্রবার বিকালে ওই ‘আওয়ামীলীগ বাদশা’র জন্য মন্ত্রীর পাঠানো উপহার সামগ্রী নিয়ে যাওয়া তার প্রতিনিধি মো. আল-আমীন খান জানান, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী গত বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাত পৌনে ১২টার দিকে ফোন করে ওই ‘আওয়ামীলীগ বাদশা’র সমস্যার ব্যাপারে জানান। এ সময় তিনি তার (বাদশা) জন্য ২টি লুঙ্গি, ২টি গামছা, ২টি গেঞ্জি, ১টি শার্ট ও ১টি পাঞ্জাবি সহ ৫ হাজার টাকা আমার কাছে পৌঁছে দেন। তার (মন্ত্রী) দেয়া ওই সব উপহার সামগ্রী পরের দিন শুক্রবার ১মে বিকালে আমি তাকে খুঁজে বৈঠাকাটা বাজারে বসে তার হাতে পৌঁছে দেই। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. হাসানাত ডালিম, বৈঠাকাটা বাজার কমিটির সাধারন সম্পাদক মাসুদ রানা প্রমুখ। এ ব্যাপারে পিরোজপুর-১ আসনের (নাজিরপুর, নেছারাবাদ ও পিরোজপুর) এমপি মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম বলেন, বাদশা আকন একজন মুজিব প্রেমী আ.লীগ কর্মী। আমি তার সমস্যার বিষয় ফেসবুকের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) রাতে জানতে পেরে তার জন্য উপহার সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছি।