খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহযোগিতায় করোনা যোদ্ধা সিনিয়র নার্স শিলা দাস ও তার কাজেরবুয়ার বাড়ি স্থানীয়দের জোরকরে দেওয়া লকডাউন থেকে মুক্তি পেয়েছে !
এছাড়া প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য তুলে দেওয়া হয় তার মেডিকেলে পড়ুয়া মেয়ের হাতে। অনাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছিল সিনিয়র নার্স শিলা দাসের মেয়ে ও তার গৃহকর্মীর পরিবার। মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ে এলাকার মানুষের জোরকরে দেওয়া লকডাউন এ ঘর বন্দীতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছিল। কেউ কোন প্রকার খাবারের সহযোগিতা করেনাই, এমনকি তার কাজের বুয়ার পরিবার ও অনাহারে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছিল।
এদিকে তার বাসা ও তার কাজের বুয়ার বাসা লকডাউন এর বিষয়ে জানেনা খুলনা জেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট ১৮ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান মনি। হাফিজুর রহমান দাবি করছে, লকডাউন করলে থানা পুলিশ করেছে। আমি বিষয়ে জানিনা। জানেনা কোন মিডিয়াকর্মী বা স্থানীয় সোনাডাঙ্গা থানা প্রশাসন।
সূত্র মতে সিনিয়র নার্স শিলা দাসের ফেইসবুক এ স্ট্যাটাস দেখে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক জয়নাল ফরাজীর বিশেষ কর্মতৎপরতা খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নকে অভিভূতকরে। সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি অন্যান্য সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখে বিশেষ হস্তক্ষেপে সহায়তার জন্য ভূমিকা নিয়ে অসহায়দের পাশে দাঁড়ায় এবং ১লা মে সকাল-১১টায় খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সভাপতি মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেয়ামূল হক কচি, এস এম কামাল ও সুনীল দাস কে সঙ্গে নিয়ে খাদ্যদ্রব্য তুলে দেন বিভাগীয়নার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিলা দাসের মেয়ের হাতে।
শিলা দাসের যে স্ট্যাটাস দেখে এতকিছু সেই স্ট্যাটাসে দেখাযায় আমিকি তবে অনাহাওে মারা যাবো? সেবিকা হিসাবে করোনা রোগীদের সেবা দেওয়াটাকি আমার অপরাধ ? আমি সুস্থ হয়ে সেবিকারূপে আবার আপনাদেও মাঝে আসতে চাই। আমি খুলনা আবহাওয়া সেন্টার থেকে গত ৪এপ্রিল থেকে করোনা হসপিটালে ডিউটি করি । ২৮ এপ্রিল আমার করোনা শনাক্ত হয়। তখন থেকে আমি করোনা হসপিটালে ভর্তি। এদিকে এলাকার কমিশনারের কিছু চামচা আমার বাড়ি ও আমার কাজের বুয়ার বাড়ি লকডাউন করে দিয়েছে। বাড়িতে আমার মেডিকেল পড়ুয়া মেয়ে একা থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় অনাহারে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। আমি নিরামিষভোজী হওয়ায় আমি ও আমার মেয়ে অনাহারে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি। আমার কাজের বুয়ার পরিবারের ও একই অবস্থা ছিল। কোন উপায়ান্তর না দেখে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিই সহযোগিতা পাওয়ার জন্য। এরই সূত্র ধরে খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের বিশেষ ভূমিকায় অবশেষে ১লা মে খুলনা সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে স্থানীয়দের জোরকরে দেওয়া লকডাউন থেকে মুক্ত হলো সিনিয়রনার্স শিলা দাস এবং তার গৃহকর্মীর পরিবার। ব্যাপারে শিলা দাসের সাথে কথা বললে তিনি জানান আজ খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন আমার পাশে দাঁড়িয়েছে বলে আমি ও আমার মেয়ে এবং আমার কাজের বুয়ার পরিবার অনাহার ও মানবেতর জীবন-যাপনের হাত থেকে মুক্তি পেলাম। খাদ্যদ্রব্য পেলাম এবং স্থানীয়দের দেওয়া জোর করে লকডাউন থেকে মুক্তি পেলাম। ভবিষ্যতে যেন কোন এলাকায় স্থানীয়দের মনগড়াভাবে কোন পরিবারকে জোর কওে লকডাউন করতেনা পারে এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ বিশেষভাবে কামনা করেন।