নওগাঁ-২ ধামইরহাট-পত্নীতলা আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. শহীদুজ্জামান সরকার কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। ০১ মে সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরকারের রোগতত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রন ও গবেষনা কেন্দ্র (আইইডিসিআর)। এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানকালীন সময়ে সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকারের সংস্পর্শে আশা প্রায় ডজন খানেক সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকার গত ২১ এপ্রিল নির্বাচনী এলাকায় আসেন ও সন্ধ্যায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে ডাকবাংলোয় সাক্ষাত করেন। ২২ এপ্রিল সকালে পত্নীতলায় উপজেলায় ও বিকেলে ধামইরহাট উপজেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কৃষকদের মাঝে কম্পাইন্ড হারভেস্টার বিতরণ করেন। ২৩ এপ্রিল বিকেলে পত্নীতলা ডাকবাংলোয় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সভা করেন। ২৪ এপ্রিল সকালে নিজ গ্রাম ধামইরহাটে বীরগ্রামের মোড়ে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের খাদ্য সহায়তা কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। ২৬ এপ্রিল ধামইরহাটে কৃষকদের নিয়ে ধানকাটা বিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ সভায় যোগ দেন। একই তারিখে পত্নীতলা দলীয় কার্যালয়ে বসে নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন। যেখানে মহাদেবপুর-বদলগাছি আসনের সংসদ সদস্য মো. ছলিম উদ্দিন তরফদারও যোগদান করেন। ২৮ এপ্রিল তিনি নওগাঁ হতে ঢাকায় যান। ঢাকা গিয়ে শরীরে জ্বর অনুভুত হলে তিনি স্যাম্পল পরীক্ষা করালে তাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ ফলাফল পাওয়া যায়। বর্তমানে তিনি ঢাকায় ন্যাম ফ্লাটের বাসায় হোম আইসোলোশনে আছেন। তিনি বর্তমানে সুস্থ আছেন বলেও দলীয় নেতাকর্মী সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থানকালীন সময়ে সাংসদ শহীদুজ্জামান সরকারের সংস্পর্শে আসায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শে হোম কোয়ারেন্টাইনের রয়েছেন ধামইরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গণপতি রায়, পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন সরকার, ধামইরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান আজাহার আলী, পৌর মেয়র আমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলদার হোসেন, পত্নীতলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল গাফফার, সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা সুলতানা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র সরকার, স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী সৈকত দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খালেক চৌধুরী, নজিপুর পৌর মেয়র রেজাউল কবির চৌধুরীসহ প্রায় ডজন খানেক সরকারি কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মী।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, সংসদ সদস্যের সংস্পর্শে আসায় শনিবার ১৫জন কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাকর্মীর স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আজ আরো কয়েকজনের স্যাম্পল সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে। এ বিষয়ে পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিটন সরকার জানান, জেলা প্রশাসকের পরামর্শে আমি বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে আছি। বাসা থেকেই অফিস পরিচালনা করছি।