যশোরের কেশবপুরের মির্জাপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনায় এক পুলিশ কর্মকর্তার মা ও বোনকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা। থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য অভিযোগকারিকে হুমকী দিচ্ছে সন্ত্রসীরা। অভিযোগ পেয়ে থানার এস আই দীপক দত্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মৃত নওশের আলী দফাদারের ছেলে আসাদুজ্জামান দফাদারের সাথে শরিকানা জমিজমা নিয়ে মৃত আবদুল গফফার মোড়লের শরিকদের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো। মৃত আবদুল গফফার মোড়লের ছেলে ও কন্যারা পুলিশসহ বিভিন্ন দফতরে চাকুরী করার কারণে বাড়িতে না থাকায় তারা অত্যাচার করে আসতে থাকে। গত ৩০ এপ্রিল গরু, ছাগল ,হাঁস মুরগী দিয়ে ফসলের ক্ষতি সাধন করতে থাকলে প্রতিবাদ করলে আসাদুজ্জামান দফাদার, তার ছেলে সাব্বির আহম্মেদ,স্ত্রী রাশিদা বেগম,কন্যা মিতা খাতুনসহ আরও ৪/৫ জন জোটবদ্ধ হয়ে লোহার রড, বাঁশের লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ির অভ্যন্তরে প্রবেশ করে মৃত আবদুল গফফার মোড়লের স্ত্রী রাবিয়া বেগম(৫৫). মেয়ে পারভিনা খাতুন কে (২৩) বেধড়ক মারপিটে রক্তাক্ত জখম করে। এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে কেশবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা করায়। এ ঘটনায় আহত রাবিয়া বেগমের কন্যা স্কুল শিক্ষিকা মোসাম্মৎ হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ করায় পাশর্^বর্তী চিংড়া গ্রামের জনৈক শাহিন আলম নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয়ে অভিযোকারিনিকে অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য ভয়ভিতি ও হুমকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ। আহত রাবিয়া বেগমের মেয়ে তহমিনা খাতুন ঢাকার কোতোয়ালি থানায় এ এস আই পদে ও ছেলে মাহম্মুদুল হাসান খুলনা আর আর এফ এর কনেষ্টবল পদে কর্মরত আছেন। অভিযোগকরি শিক্ষিকা মোসাম্মৎ হাসিনা খাতুন জানান, ঘটনায় জড়িত আসামি আসাদুজ্জামান নাশকতা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি। তার ভয়ে অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পায় না। অভিযোগের তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই দীপক দত্ত জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।