রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুর রহমান আর নেই। বার্ধক্যজনিত কারণে শনিবার ২ মে রাত ১০টায় ঢাকার উত্তরায় তাঁর নিজস্ব বাসভবনে ইন্তেকাল করেন। রবিবার সকাল ৯ টায় উত্তরা ১২ নম্বর কবরস্থানে তাঁর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
সূত্রে জানাযায়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুর রহমান ঢাকার উত্তরার তার নিজ বাস ভবনে শনিবার (২ মে ২০২০) রাত ১০ টায় বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নালিল্লাহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭১বছর। রবিবার সকাল ৯ টায় উত্তরা ১২ নম্বর কবরস্থানে তাঁর জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়। নাটোরের লালপুর উপজেলায় ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন আব্দুর রহমান। তিনি লালপুর উপজেলার তিলকপুর গ্রামের মরহুম ডাক্তার আকছেদ আলী তৃতীয় সন্তান। নিজ এলাকায় সবাই তাঁকে ডাক নাম ফুরকান নামেই চিনতেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে এমএসসি এবং ১৯৭৪ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বৃত্তিলাভ ও ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে কার্টোগ্রাফিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা করেন। ১৯৭৮ সালে তিনি কানাডার ওয়াটালু ইউনিভার্সিটিতে টিচিং এসিস্টেন্ট হিসেবে যোগদান ও ১৯৮০ সালে এমএ ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৭৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক হিসেবে ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগে যোগদান করেন। কার্টোগ্রাফিতে ‘এরিয়া কলাম ডায়াগ্রামথ কৌশলের উদ্ভাবক এবং মানচিত্রে স্কেলের একটি নতুন সঙ্গা প্রদান ভূগোলে মৌলিক অবদান রাখেন। নগর আবর্জনা ব্যবস্থাপনা ধারণার সূচনা অপর একটি উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব। ‘এরিয়া কলাম ডায়াগ্রামথ কৌশলটি ইন্টারন্যাশনাল কার্টোগ্রাফিক এসোসিয়েশন (আইসিএ) কর্তৃক গৃহীত ও ২০০১ সালে প্রকাশিত হয়। তাঁর প্রথম প্রকাশিত ভৌগলিক কাব্যগ্রন্থ ‘পদ্মা নদীর বাঁকেথ ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়। ভৌগলিক বিষয়াদি নিয়ে রচিত এই কাব্যগ্রন্থের জন্য তাঁকে ‘ভূগোল কবি নামে আখ্যা দেওয়া হয়।