মহামারী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে দেশের বিভিন্ন এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। চলছে দেশে সাধারণ ছুটি, সড়কে যানবাহন নাই বললেই চলে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এই মহামারী ভাইরাস থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে জনসমাগম ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছেন। আর সেই সুযোগে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কৌশলে দিনরাত চসে বেড়াচ্ছেন মাদক ব্যবসায়ীরা। চালিয়ে যাচ্ছেন রমরমা মাদক ব্যবসা। পাশাপাশি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হরদমে বসছে জুয়ার আসর। বিশেষ করে খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের বাড়িতে মাদকের আকড়াসহ চালিয়ে যাচ্ছেন জুয়া। আর এসব বিষয়ে স্থানীয়রা থানা পুলিশকে খবর দিলেও তারা কর্ণপাত করছেননা বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে জুয়ারীরা দাবী করছেন স্থানীয় থানা পুলিশের এক সদস্যের মাধ্যমে মাসোহারা দিচ্ছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে, চালিয়ে যাচ্ছে হরদমে গাজাঁ ও ইয়াবার ব্যবসা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক সূত্রে জানিয়েছেন, স্থানীয় চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা সহ পাশ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলা থেকে মোটরসাইকেল যোগে অপরিচিত লোকদের আনা ঘোনা দেখা যায়। এরা স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে বিভিন্ন কৌশলে যোগাযোগ করে আবার চলে যায়। সম্প্রতি গত শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার শুক্তাগড় গ্রামের আলমগীর হোসেন ওরফে ইয়াবা আলমগীরের কাছে ঝালকাঠি সদর উপজেলার বিন্না পারা এলাকা থেকে তিন যুবক মাদকক্রয় করতে আলমগীরের কাছে আসলে ভূলবসত বাদশা তালুকদারের ঘরে ডুকে পরে ঐ তিন যুবক। এ নিয়ে পরে আলমগীরের সাথে বাদশা তালুকারের তুমুল বাকবিতন্ডার এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে স্থানীয়দের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানান, আলমগীর এই এলাকায় মাদকের আকড়া ঘরে তুলছে। তাকে কিছু বলা যায় না। পুলিশের কাছে বললেও তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করে না। স্থানীয়দের দাবী থানা পুলিশ এই সমস্ত লোকদের কাছ থেকে মাসোহারা নিচ্ছেন। উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নের বামনকাঠি এলাকা থেকে নাম না বলার শর্তে এক ব্যক্তি বলেন, উপজেলার চিহিৃত মাদক ব্যবসায়ী (বড় চালান নিয়ে র্যাবের-৮ এর হাতে ধরা খাওয়া) বাবু ওরফে এ্যাপাসি বাবু প্রায়ই উপজেলার বামনকাঠি এলাকার আ: মন্নানের ছেলে কয়েকবার মাদক মামলায় কারা বরণ করা এনায়েতের কাছে এসে আবার কিছুক্ষন পর চলে যান। এরপরেই আবার অপরিচিত কিছুলোক এনায়েতের কাছে আনাঘোনা করতে দেখা যায়। উপজেলার সাতুরিয়া এলাকা থেকে নাম বলতে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রশাসনের তেমন আনাঘোনা নেই সেই সুযোগে স্থানীয় মাদক কারবারীরা হরদমে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা। উপজেলার মঠবাড়ী এলাকার নাম না জানার শর্তে একাধিক ব্যক্তি বলেন, এলাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা পাল্লাদিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা। তারা আরও বলেন মাদকের সাথে কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও জড়িত রয়েছে বলে তাদের দাবী।
এ বিষয়ে রাজাপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: জাহিদ হোসেন জানান, ‘মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান সব সময়ের জন্যই অব্যাহত রয়েছে তাদেরকে ধরতে পারলে কোন ছাড় নেই বিশেষ করে এবিষয়ে কোন ইনফরমেশন পাইলে তাৎক্ষনিক আমরা ব্যবস্থা নিব।