সোনারগাঁয়ে মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের ভয় ও সরকারের লকডাউন উপেক্ষা করে সকাল থেকেই উপজেলার ছোট-বড় সব বাজার গুলোতেই জমে ওঠে বেচাকেনা। যাত্রীবাহী সিএনজি, রিক্সা, অটোরিক্সা, পণ্যবাহী ভ্যান, পিকআপসহ ছোট ছোট সব গাড়ির শ্রোত চলতে দেখাযায় বাজার মুখি সবগুলো কাঁচাপাকা সড়কে। কেউই যেনো মানছেনা সরকারের সামাজিক দুরত্বের ঘোষণা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মোগরাপাড়া-চৌরাস্তা এলাকায় প্রায় সব দোকান পাটই খোলা। স্বাভাবিক ভাবেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই বেচাকেনা চলত থাকে। বাজারটি ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে হওয়ার কারণে এর কলেবরও অনেক ব্যপক। এ বাজারে চারদিকের বিভিন্ন এলাকার মানুষ তাদের প্রয়োজনিয় কেনাকাটার জন্য এ বাজারে আসতে হয়। সে কারণে যাত্রী এবং পণ্যবাহী গাড়ির শ্রোত চলে আসে চৌরাস্তা বাজার কেন্দ্রিক। এদিকে হঠাৎ করেই সকাল ১১.৩০ মিঃ এর দিকে সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ আল আমিন তার সরকারি গাড়ি নিয়ে মোগরাপাড়া-চৌরাস্তায় এসে থামেন। গাড়ির সাইলেন শুনে মুহূর্তের মধ্যে মোগরাপাড়া-চৌরাস্তা এলাকার পূর্ব পার্শের সব দোকান পাট বন্ধ হয়ে যায়। যাত্রীবাহী গাড়ী গুলো দ্রুত যাত্রী নামিয়ে বিপরীত দিকে চলে যেতে থাকে। পথচারী একজনকে বলতে শোনা যায়, প্রশাসনের লোক দেখলেই লকডাউন শুরু হয়। আর গেলেই শেষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোগরাপাড়া-চৌরাস্তার এক ব্যবসায়ী জানান, প্রায় দুই মাস যাবৎ ব্যবসা বন্ধ। সংসাররই চলবে কি করে। কর্মচারীর বেতন আর দোকান ভাড়াই দেই কি ভাবে। চিন্তায় আছি।