দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার আমিরুল ইসলাম (৩৮) নামে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আরো একজন রোগী সনাক্ত করা হয়েছে। সোমবার স্থানীয় প্রশাসন উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বড় বৃত্তিপাড়ার ১০ বাড়ী লকডাউন করে দিয়েছে।
পার্বতীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহেল মাফী জানিয়েছেন, সোমবার আমিরুল ইসলামের পরিবারের ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এনিয়ে পার্বতীপুর উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২জনে। এর আগে, গত ৯ এপ্রিল পৌরসভার নামাপাড়া মহল্লায় মানিক শাহ্ (২৫) নামে নারায়নগঞ্জ ফেরত এক যুবকের দেহে করোনা সনাক্ত হয়।
করোনায় আক্রান্ত আমিরুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের বড় বৃত্তিপাড়া গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত পাশের উপজেলা সৈয়দপুর শহরের একটি বে-সরকারী ব্যাংকে জুনিয়র কর্মকর্তা পদে কর্মরত ছিলেন। সেখানে কর্মরত অবস্থায় গত ২৭ এপ্রিল তিনিসহ ১২ কর্মকর্তা কর্মচারী একযোগে সর্দি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য শাখা ব্যবস্থাপককে অবহিত করে। ওই দিনই ব্যাংকের শাখা লকডাউন ঘোষনা করেন কর্তৃপক্ষ। পরে, ২৯ এপ্রিল অসুস্থ ৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হলে ২মে রাতে ৬ জনকেই করোনা পজেটিভ বলে ঘোষনা করা হয়। এরপর থেকে ব্যাংক কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম পার্বতীপুরের বিত্তিপাড়ায় নিজ বাড়িতে সেল্ফ আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ শাহনাজ মিথুন মুন্নী।
পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ শাহনাজ মিথুন মুন্নী আরও বলেন, এলাকার মানুষের কথা চিন্তা করে আশপাশের বাড়িগুলো লকডাউন ঘোষণা করা হয়। যতদিন করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ্য না হয় ততদিন লকডাউন থাকবে।
পার্বতীপুর মডেল থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান, রামপুর ইউনিয়নের বড় বৃত্তিপাড়া গ্রামের আশপাশের ১০ বাড়ীগুলো লকডাউন করা হয়েছে। এসব বাড়ী থেকে কেউ বাহিরে যেতে বা কাউকে সেই বাড়ীগুলোতে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।