কচুয়ায় সঠিক সময়ে কৃষকের ঘরে বোরো ধান তুলে দিতে “করোনা-কে দূরে রাখি, বেগার-গাতায় ধান কাটি।”-এই স্লোগানকে সামনে রেখে বাগেরহাটের কচুয়াতে কর্তিত হচ্ছে কৃষকের বোরো ধান। করোনার সংক্রমণ এড়াতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে বহিরাগত শ্রমিক। এ লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডে গঠিত হয়েছে বোরো কর্তন স্বেচ্ছাসেবক দল।
কচুয়া উপজেলা কৃষি অফিস-এর উদ্যোগে এবং উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণের সহায়তায় গতকাল সকাল ১০টায় “বেগার ও গাতা” রীতিতে কচুয়া উপজেলার ছোটবগা, গজালিয়ার রাজারহাট এবং ধোপাখালীতে বোরো ধান কর্তনে অংশগ্রহণ করেন স্বেচ্ছাসেবক, রাজনৈতিক দল ও রোভার স্কাউটের শিক্ষার্থীগণ।
পাশাপাশি ভাড়ায় রিপার যন্ত্রের মাধ্যমেও বোরো ধান কর্তিত হচ্ছে। স্বেচ্ছাশ্রম ও খামার যান্ত্রিকীকরণের এ উদ্যোগ সম্প্রসারিত হলে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজিৎ দেবনাথ ও উপজেলা কৃষি অফিসার জনাব মোছাঃ লাভলী খাতুন। উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান যে,কচুয়া উপজেলায় বোরো আবাদকৃত মোট জমি ৬৭০০ হেক্টরের মধ্যে ইতোমধ্যেই কর্তন সম্পন্ন হয়েছে মাত্র ১২৫০ হেক্টর।
করোনার করাল থাবায় পুরো বিশ্ব যখন স্থম্ভিত, বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তা যখন হুমকির মুখে তখন মাঠের পর মাঠ সোনালী ধানের শীষে দোদুল্যমান কৃষকের স্বপ্ন। সেই স্বপ্নে হানা দিতে প্রতিনিয়তই কড়া নাড়ছে করোনা, শ্রমিক সংকট, অতিবৃষ্টি, জলাবদ্ধতা আর ঘূর্ণিঝড় ‘আম্ফানি’।