আশাশুনি উপজেলার কাকবাসিয়ায় একটি নিরিহ পরিবারকে জব্দ করতে মিথ্যা মামলা দায়েরের পর মৎস্য ঘেরের বাসায় হামলা চালিয়ে দু’ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির প্রতিকারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কাকবাসিয়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের স্ত্রী জাহানারা খাতুন এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জাহানার খাতুন জানান, একই গ্রামের আলামিন গাজী ওরফে এরশাদের স্ত্রী সেলিনা খাতুন বাদী হয়ে আমার পুত্র আছাফুর রহমানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা (নং ০৩, তাং- ০৩/০৫/২০) দায়ের করেছে। ওই সেলিনা এরশাদকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে উধাও হওয়ার পর মিথ্যা মামলায় এরশাদের পিতাকে জেল খাটিয়েছিল এবং পরবর্তীতে দেড় বিঘা জমি হাতিয়ে নিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল। এরশাদ আমার ১০ বিঘা জমি হারি নিয়ে মৎস্য ঘের করে আসছিল। আমার ছেলেকে স্বাক্ষী রেখে ২ বিঘা জমি বন্ধক রেখে এরশাদ এক লক্ষ টাকা নিয়েছিল। ৩ বছর জমির হারি শোধ দিলেও পরে ২ বছর হারির টাকা পরিশোধ না করায় তার থেকে আমরা জমি নিয়ে নিয়েছি। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছিল। জমি বন্ধকী টাকা আত্মসাৎ করা এবং আমাদেরকে জব্দ করতে সে নারী নির্যাতনের ঘটনা প্রচার দিয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। মামলার পরদিন বিকালে এরশাদ, আজিজুল, জাহেদুল, রইজুল, ইউসুফসহ আরো কিছু ব্যক্তি আমাদের মৎস্য ঘেরে দা-লাঠি শোটাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হানা দেয়। তারা ঘেরের বাসা, বাসার মটরসহ সকল মালামাল ভাংচুর করে এবং ঘেরের মাছ মেরে নিয়ে যায়। এতে তাদের দু’লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। সোমবার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ আবদুস সালাম ও ওসি (তদন্ত) মামলার তদন্তে ঘটনাস্থান পরিদর্শন করেছেন। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান আলমগীর আলম লিটন উপস্থিত ছিলেন। জাহানারা খাতুন বলেন, মামলার বাদী পক্ষ তাদের কাছে ৩ বিঘা জমি দাবী করে বলছে জমি দিলে মামলা মিমাংসা করে নেব। না হলে তাদের জীবন নাশসহ নানা হুমকী দিয়ে চলেছে। এ ব্যাপারে তিনি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ আইন আদালতের কাছে প্রতিকার ও সুবিচার কামনা করেছেন।