নাঙ্গলকোট উপজেলায় অভিনব কায়দায় ত্রাণ বিতরণ চলছে। ত্রাণের তালিকায় আসছে নতুন নতুন পণ্য ও খাবার। উপজেলার সর্বত্র সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে পাল্লা দিয়ে চলছে ত্রাণ বিতরণ। সরকারী দলের ত্রাণের পরিমাণ সামান্য হলেও বেসরকারী উদ্যোগে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ চলছে। ইতোপূর্বে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার, থানা পুলিশ ত্রাণ বিতরণ করলেও বর্তমানে পৌর মেয়র এবং বিভিন্ন ইউনিয়নে চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল এমপি পুরো উপজেলায় ৪ হাজার পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করবেন বলে জানা গেছে। আইএফএস, আরডিএফ, পিডিএফ, প্রবাসী কল্যাণ সংস্থ্যা, খোশারপাড় মিয়াজী ফাউন্ডেশন, সাতবাড়ীয়া প্রবাসী গ্রুপ, শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব গণপাঠাগার, কাজী জোড়পুকুরিয়া ভূঁইয়া ফাউন্ডেশন’সহ অসংখ্য সংগঠন পৃথক পৃথক ভাবে ত্রাণ বিতরণ করেন। অপর দিকে উপজেলা বিএনপি পুরো উপজেলায় প্রায় ৫০ লক্ষ্য টাকার ত্রাণ বিতরণ করেন বলে পৌর বিএনপির আহবায়ক আনোয়ার হোসেন মুকুল জানান। জামায়াতে ইসলামীও উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১৯ টি গ্রামে ত্রাণ বিতরণ করেন। তবে সরকারী দলের ত্রাণের চেয়ে বিভিন্ন সংগঠন এনজিও বিএনপি ও জামায়াতের ত্রাণে ভিন্নতা রয়েছে। পেরিয়া ইউপি সদস্যের পারিবারিক অর্থায়নে প্রায় ১৫০ পরিবারে গরুর মাংস বিতরণ করেন ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান। এ দিকে পৌর সভার ধাতিশ্বরে শিশু কল্যাণ সংস্থ্যা নামে একটি সংগঠন ৬০ পরিবারে মাঝে গরুর মাংস বিতরণ করেছে। বুধবার উপজেলার শিবপুর ও খোশারপাড় গ্রামের করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন ও দরিদ্রের মাঝে এ মাংস বিতরণ চলে। ত্রাণের ভিন্নতায় ত্রাণ গ্রহিতারা বেশ খুশি। এ নিয়ে উপজেলার সর্বত্র চলছে মুখরোচক আলোচনা।