করোনা ভাইরাসের প্রভাবে চট্টগ্রামে হতদরিদ্র মানুষেরা এখনো দিশেহারা। তাদের কাজ নেই, বেতন নেই, ঘরে খাবার নেই, চিকিৎসার টাকা নেই, বাসা ভাড়া নেই, সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ নেই। নেই আর নেই। আছে শুধু অভাব। এই অভাব শব্দটি যেন চারদিকেই ঘিরেই রেখেছে। অথচ এদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সাম্প্রতিক সময়ে বিপুল পরিমাণ ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। এই ত্রাণ সামগ্রী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সুষ্ঠুভাবে বন্টন করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। ত্রাণ বিতরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নানা শ্রেণি পেশার মানুষও। অনেকেই বলছেন- বরাবরেই ত্রাণ হরিলুট হচ্ছে। প্রতিনিয়ত রাস্তায় অভাবী মানুষগুলো ত্রাণের আশায় সারি সারি লাইন ধরলেও ত্রাণের খবর নেই।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানায়, মাঝে মাঝে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, কিছু জনপ্রতিনিধি ও প্রবাসীদের পক্ষ থেকে অসহায় এসব মানুষজন ত্রাণ পাওয়ার সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে। ওদিকে যারা সরকারি ত্রাণের জন্য তালিকা তৈরী করছেন; তারা আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে থেকে পছন্দমত লোকদের নিচ্ছেন। এতে মুলত: প্রকৃত দরিদ্ররা রেশন কার্ডের ত্রাণ পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে অনেকেই জানালেন। সরকারি ত্রাণ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম সিটি রিক্সা শ্রমিকলীগের সভাপতি মো. সেলিম আক্ষেপ করে বলেন, আমার রাজনীতির পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে মানুষের এতো কষ্ট আর চোখে দেখিনি। চারদিকে নিরব হাহাকার চলছে। অনেকেই লজ্জায় অন্যকে বলতেও পারছেন না। আমি চ্যালেঞ্জ সহকারে বলছি-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তথা সরকারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামবাসীর জন্য যেভাবে ত্রাণ বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে; তা হতদরিদ্ররা পাচ্ছেন না। এরআগে আমি মিডিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দিয়ে সরকারি এসব ত্রাণ সামগ্রী বরাদ্ধের বার বার আবেদন জানিয়ে আসলেও কাজ হয়নি কিছুই। আমি জোরালোভাবে বলছি- চট্টগ্রামে শতকরা ২০জন দরিদ্রমানুষও সরকারি ত্রাণ পাচ্ছেন না। ত্রাণ সর্বত্রই হরিলুট চলছে। এভাবে চলতে থাকলে সরকারের ওপর জনগণের আস্থা থাকবেনা। তাই আমি এই বিষয়ে অনতিবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যথাযথ হস্তক্ষেপ ও সুদৃষ্টি কামনা করছি।