‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য, পুলিশ জনসেবার জন্য’-এ কথাগুলো আবারো সত্য প্রমাণ করলেন নড়াইলের পুলিশ সুপার। প্রসব বেদনায় প্রসূতি যখন বেদনা কাতর, ঠিক তখনই অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে সাহায্যের হাত বাড়ালেন নড়াইলের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)।
ঘটনাটি নড়াইল সদর উপজেলার সিঙ্গাশোলপুর ইউনিয়নের উত্তরখলিশাখালী গ্রামের। বুধবার (৬ মে) রাত ৮টার দিকে ভূক্তভোগী অনিতার স্বামী রিপন বিশ্বাসের মোবাইল ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। প্রায় একঘণ্টার মধ্যে প্রসূতিকে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সটি নড়াইল সদর হাসপাতালে পৌঁছায়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের পরামর্শে সন্তানসম্ভাবা অনিতা বিশ্বাসকে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মানবসেবার এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান গণমাধ্যমকর্মীরা।
এ ব্যাপারে স্বামী রিপন বিশ্বাস বলেন, বুধবার রাতে হঠাৎ করে আমার স্ত্রীর প্রসববেদনা শুরু হলে দিশেহারা হয়ে পড়ি। কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে কয়েকজনের সাথে পরামর্শ করি। এক পর্যায়ে আমাদের পুলিশ সুপার স্যারের কথা মনে পড়ে। লোকমুখে শুনেছি, তিনি (পুলিশ সুপার) মানুষের উপকার করেন। সাহস করে পুলিশ সুপারের সরকারি নাম্বারে ফোন দিই। আমার স্ত্রীর প্রসববেদনার কথা শুনে করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে রাতের আধারে আমাদের ওখানে সাথে সাথে অ্যাম্বুলেন্স পাঠিয়ে দেন তিনি। বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস পেয়ে খুশি হয়েছি। পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন স্যারের আন্তরিকতায় গ্রামাঞ্চল থেকে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে এসেছে। ওনার জন্য দোয়া করি, সবসময় যেন মানবসেবা করে যেতে পারেন।
নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ রানা বলেন, ভূক্তভোগী রিপন বিশ্বাস আমাদের এসপি স্যারকে মোবাইল ফোনে তার সমস্যার কথা বলেন। তাৎক্ষণিক রোগিকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়েছে। এখন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন ওই প্রসূতি।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার) বলেন, নড়াইলের সুবিধাবঞ্চিত জনসাধারণ যদি কোনো ধরনের অসুস্থ হয়ে পড়েন, তার পাশে আছে আমাদের অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস।
প্রসঙ্গত, প্রায় ছয় মাস আগে নড়াইল জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এরপর থেকে বিভিন্ন ধরণের রোগিকে বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিচ্ছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার)।