ফরিদপুরে জেলায় এ বছর বোর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকের মাঠে এখন পাকা ধানে সোনালী রং ধারণ করেছে। এখন চলছে আগাম জাতের ধান কাটা। বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের শিবরামপুর গ্রামের কৃষক খলিল মোল্যার জমির ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দিয়েছেন ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা। এসময় তার সাথে ধান কাটায় অংশ নেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল বাসার মিয়া, স্থানীয় কৃষক ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীগন।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুম রেজা বলেন, বর্তমান সরকার করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। তারই অংশ হিসাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে কৃষকদের ধান কেটে দেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষক কিছুটা হলেও উপকৃত হবে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে ২৩হাজার ৮০৫ হেক্টোর জমিতে উন্নত জাতের ও উচ্চ ফলন শীল ব্রি ধান ২৮, ৮৪, ২৯, ৫০, ৫৮ ও ৭৪সহ বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ হয়েছে।
ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অদিদপ্তর এর উপপরিচালক কৃষিবিদ কার্তিক চন্দ্র চক্রবর্তী বলেন, চলতি মৌসুমে বরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন চলছে আগাম জাতের ধান কর্তন। আমাদের এখানে ধান কাটা শ্রমিকের কোন সঙ্কট নেই। চাষিদের কথা চিন্তা করে আমাদের কৃষি বান্ধব সরকার বরো ধান কর্তনে যাতে, কোন অসুবিধা না হয়। তার জন্যে ৯টি উপজেলায় ১০টি কম্বাইন্ড হারেভেস্টর ও ২১টি রিপার দিয়েছেন। যা বিতরণ শুরু হয়েছে। আরো ৫টি কম্বইন্ড হারভেস্টর মজুদ রয়েছে। শ্রমিক সংকটে যাতে বোর ধাণ কর্মন বাধাগ্রস্থ না হয়, তার জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।