নেত্রকোনার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের মেনকিফান্দা গ্রামে এক কৃষকের জমিতে ঘর নির্মাণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে। এ অনিয়মের প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্থানীয় চৌষট্টি জনের গণস্বাক্ষরযুক্ত লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন ভুক্তভোগী।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, দুর্গাপুর ইউনিয়নের মেনকিফান্দা গ্রামের মৃত. জুবেদ আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দিনের মেনকিফান্দা মৌজায় ৫৯ শতাংশ জমি রয়েছে। একই গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের পুত্র মোঃ আলতাব হোসেন(মুক্তিযোদ্ধা)তার সঙ্গীয় অপরিচিত ২০/২৫জন লোক নিয়ে ঐ জমিতে জার করে ঘর উত্তোলন করেছে। ঐ দখলি জায়গায় একটি চালা/ছাপড়া ঘর নির্মাণ করেন ঐ মুক্তিযোদ্ধা। উল্লেখ যে ৪৫ বছর ধরে এই জমি নিজের দখলে রেখে নিয়মিত চাষাবাদ করছেন মৃত. জুবেদ আলীর ছেলে মোঃ গিয়াস উদ্দিন তারস্বত্ব দখলীয় ভূমিতে স্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণের পায়তারা চালিয়ে আসছি ঐ মুক্তিযোদ্ধা। ঐ ঘর নির্মাণে বাঁধা দিতে গেলে তার স্ত্রীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ,মারপিট করতে উদ্যত হয় ঐ মুক্তিযোদ্ধা। এ বিষয়টি নিয়ে মামলা মোকাদ্দমা করলে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকী দিয়ে বেড়াচ্ছে ঐ মহলটি। স্থানীয় ইউপি চেয়াম্যান শাহিনুর আলম সাজু বলেন, জমি বিরোধের বিষয়টি মিমাংসার জন্য গ্রাম্য সালিশে বেশ কয়েকবার বসা হয়েছিল। তবে দুই সৎভাইয়ের ব্যাপার,তবে কেহ কাউকে ছাড় দিতে রাজি হয়না। এ বিষয়ে ইউএনও ফারজানা খানম প্রতিনিধিকে বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগটি তদন্ত চলছে। নিজেদের মাঝে জমি সংক্রান্ত বিষয়টি নিস্পত্তি করতে উভয় পক্ষকে ডাকা হলেও দখলকারী মুক্তিযোদ্ধা পক্ষটি অনিহা করে যাচ্ছেন। জানাযায় ৪কাঠা অর্থাৎ ৩২শতাংশ খাসজমি নিয়ে বিরোধ লেগে আছে।স্থানীয় বলেন দীর্ঘ ৪৫বছর ধরে গিয়াস উদ্দিন এই জমিতে চাষাবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। বর্তমানে হঠাৎকরে তার সৎভাই মোঃ আলতাব হোসেন(মুক্তিযোদ্ধা) লোকজন নিয়ে ঐ জমিতে অবৈধভাবে চালাঘর উত্তোলন করেছেন এটা কোনভাবেই তিনি ঠিক করেন নাই,তবে বিষয়টি সুষ্টু সুরাহা হওয়া দরকার নইলে এনিয়ে খুন-খারাবি হতে পারে। এবিষয়ে মোঃ আলতাব হোসেন(মুক্তিযোদ্ধা)র কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন গিয়াস উদ্দিন আমার সৎভাই আমি যখন বিডিআর’এ চাকরী করতাম তখন তাকে প্রায় সময়ই কিছু না কিছু টাকা পয়সা দিতাম সেই সোবাদে এই খাস জমির মালিকানা দাবী করছি,আমার বাড়ীটিও খাস জমিতে আছে। জীবন চলেগেলেও গেসুকে এই জমির মালিক হতে দিবনা।