চলামান করোনা মোকাবেলাসহ এলাকার চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধে দিন-রাত সরাসরি অভিযান পরিচালনা করে আলোচিত হয়ে উঠেছেন এএসপি মো. ফজলুল করিম। বুধবার বিকেলে সাতটি চোরাই গরু উদ্ধার করে আরও আলোচনা আসেন তিনি। সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) হিসেবে কুমিল্লার হোমনা-মেঘনা উপজেলা সার্কেলের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এএসপি ফজলুল করিম ওই দিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হোমনা উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল কায়েস আকন্দকে সঙ্গে নিয়ে চোরাই গরু উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করেন। থানা সূত্রে জানা যায়, অভিযানে চোরাই গরু ক্রয় বিত্রয়কারী হিসেবে জনশ্রুত ওই গ্রামের মোতালেব হোসেন প্রকাশ জুলু মিয়া ও জীবন মিয়া নামে দুই সহোদরের বাড়ি থেকে সাতটি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। যার আনুমানিক মূলূ ছয় লাখ পঁচাশি হাজার টাকা। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দুই ভাই পালিয়ে গেলেও জুলু মিয়ার স্ত্রী সহযোগী লিপি আক্তারকে গ্রেপতার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চরজন নামীয় এবং অজ্ঞাত আরও ৫/৬ জনের নামের হোমনা থানায় মামলা হয়েছে।
উদ্ধারকৃত গরুসমূহ পৌরসভার লটিয়া গ্রামের মৃত আনোয়ার আলীর ছেলে এলাকার চিহ্নিত গরু চোর কামাল মিয়া এবং তাহার সহযোগীদের নিকট হইতে প্রায় অর্ধেক দামে বিভিন্ন সময়ে ক্রয় করিয়া অধিক দামে বিক্রয়ের জন্য নিজের গোয়ালঘরে রেখেছে। মোতালেব হোসেন চৌধুরী প্রকাশ জুলু মিয়া একজন অভ্যাসগতভাবে চোরাই গরু ক্রয়-বিক্রয় করে বলে এলাকায় জনশ্রুতি আছে।
এএসপি মো. ফজলুল করিম বলেন, গতকাল হোমনা উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের কাচারিকান্দি গ্রামের একটি বাড়িতে চোরাই গরু আছে এমন একটি সংবাদ পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালাই। এতে মোতালেব হোসেন প্রকাশ জুলু মিয়ার বাড়ি থেকে ৬টি গরু এবং তার ভাই জীবন মিয়ার বাড়ি থেকে একটি গরু উদ্ধার করি। এদের সহযোগী হিসেবে জুলু মিয়ার স্ত্রী লিপি আক্তারকে আটক করি।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কায়েস আকন্দ বলেন, ৬টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়েছে এবং তাদের সহযোগী হিসেবে মোতালেব প্রকাশ জুলু মিয়ার স্ত্রী লিপি আক্তারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে গরুগুলির মালিকদের সন্ধান পাওয়া গেছে এবং তারাও তাদের নিজ নিজ গরু সনাক্ত করেছেন। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গরুগুলি মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।