সৈয়দপুরে রেক্সটন ল্যাবরেটরীজ (ইউনানী) নামে ওষুধ ফ্যাক্টরী থেকে বিপুল পরিমাণ খোলা ট্যাবলেট এবং মালিকের ভাড়া বাসা থেকে নকল প্যান্টোনিক্স ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় নকল ওষুধ উৎপাদন ও সংরক্ষনের দায়ে মালিকের ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারদন্ড দেয় ভ্রাম্যমান আদালত। ৭ মে রাতে শহরের নিয়ামতপুর বাস টার্মিনাল এলাকার মাহবুবা প্লাজায় মেসার্স রেক্সটন ল্যাবরোটেরিজ নামক ওই ফ্যাক্টরীতে অভিযান পরিচালনা র্যাব ১৩ ও র্যাব ১৪। অভিযান শেষে ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতিতে কয়েক লাখ টাকা মূল্যের নকল ওইসব ওষুধ আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। র্যাব ১৩ রংপুর ও র্যাব ১৪ ময়মনসিংহের সুত্র জানায়, ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় নকল ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে। এমন অভিযোগের পেয়ে র্যার ১৪ ময়মনসিংহের সদস্যরা সম্প্রতি ওই এলাকার এক ব্যবসায়ীকে আটক করেন। পরে তাঁর দেয়া তথ্যে আরও দুজনকে বিভিন্ন এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্য থেকে ১ জনের তথ্যে তারা জানতে পারে ওইসব নকল ওষুধ সৈয়দপুরের রেক্সটন ল্যাবরোটরীজ থেকে কেনা হয়। তথ্যের ভিত্তিতে নকল ওষুধ উদ্ধার এবং এর সাথে জড়িতদের ধরতে র্যার ১৪-ময়মনসিংহের উপ অধিনায়ক মেজর আব্দুরøাহ আল মঈন হাসান ও র্যাব ১৩ রংপুরের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার হাফিজুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয় সৈয়দপুরে। রেক্সটন ল্যাবরোটরীজের মালিক আতিয়ার রহমানের শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের বহুতল ভবনের ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় ওই বাসা থেকে কয়েক লাখ টাকা মূল্যের ৪ কার্টুন নকল প্যানটোনেক্স ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। পরে শহরের নিয়ামতপুর বাস টার্মিনাল এলাকার মাহমুদা প্লাজায় অবস্থিত ওই ইউনানি ফ্যাক্টরীতে অভিযান চালিয়ে দুই ড্রাম লুজ (খোলা) ট্যাবলেট উদ্ধার করে র্যাবের দল। এ সময় উদ্ধার করা ওষুধের কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় রেক্সটন ল্যাবরোটরীজের মালিক আতিয়ার রহমানকে (৪৭) আটক করা হয়। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নকল ওষুধ সংরক্ষণ এবং এর স্বপক্ষে কোন কাগজপত্র দেখাতে না পারায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ফ্যাক্টরী মালিক আতিয়ার রহমানকে ১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও ১ মাসের কারাদন্ডের রায় দেন আদালত। আদালতের এ রায় ঘোষণা করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি আতিয়ার রহমান তাৎক্ষণিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করলেও ১ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় তাকে নীলফামারী জেল হাজতে পাঠানো হয়। র্যাবের এ অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন র্যাব-১৩ রংপুর সিপিসি -২ নীলফামারী ক্যাম্প কমান্ডার সিহিয়র সহকারি পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ,র্যাব-১৪ ময়মনসিংহের সহকারি পুলিশ সুপার তফিকুল আলম, উপপরিদর্শক মো. ফিরোজসহ র্যাবের অন্যান্য কর্মকর্তাগন। অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে ইউনানি ওষুধ তৈরির অনুমোদন নিয়ে ফ্যাক্টরী মালিক আতিয়ার রহমান নকল ওষুধের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন।