করোনার প্রভাবে বর্তমানে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও স্বাভাবিক অবস্থা পুরোপুরি থমকে গেছে। করোনা ভাইরাসের আক্রমণের কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে সারা দেশের ন্যায় বগুড়ার সান্তাহার জংশন শহরের লকডাউন শুরু হলে বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন, বাসসহ সকল প্রকার দোকানপাট ফলে জনশূণ্য হয়ে পড়ে রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকা। ফলে ষ্টেশন থাকা ছিন্নমূল মানুষরা মহা বিপদে পড়েন যায়। এমতাবস্থায় সান্তাহার জংশন ষ্টেশনের মাস্টার রেজাউল করিম ডালিমের আহবানে আজিজুল হক রাজা নামের এক ব্যবসায়ীর উদ্যোগে এইসব ছিন্নমুল ভাসমান মানুষের ৩ বেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু বর্তমান মাহে রমজান উপলক্ষে ষ্টেশনে থাকা ভাসমান মানুষের এখন সেহরি ও ইফতার খাওয়ানোর ব্যবস্থা অব্যহত রয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ রেলওয়ে শ্রমিকলীগ সান্তাহার শাখার সভাপতি রেজাউল হক ও তার ছেলে ষ্টক ভেরিফায়ার (অডিটর) সাহিদ হোসেন এর যৌথ উদ্যোগে ষ্টেশন এলাকায় অসহায় দরিদ্র, পাগলসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির শতাধিক ছিন্নমূল ভাসমান মানুষদের ইফতার করানো হয়েছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ষ্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিম, ব্যবসায়ী আজিজুল হক রাজা, ছাত্রলীগ নেতা তৌফিকুর রহমান সোহাগ, সান্তাহার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা তানভী রহমান তনু, ছাত্রলীগ নেতা রনক হাসান প্রমুখ।
রেলওয়ে শ্রমিকলীগের সভাপতি রেজাউল হক বলেন, দিন যতই যাচ্ছে সারা বিশ্ব ব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করছে এই কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস। দিন দিন আমাদের দেশে এর আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তাই আসুন আমরা সরকারের জারিকৃত আদেশ মেনে চলি। অতীব জরুরী প্রয়োজন ছাড়া ঘর হতে বের না হওয়া এবং সামাজিক দুরুত্ব বজায় রাখি। সমাজের বিত্তবানদের এ সকল ছিন্নমুল ও অসহায় গরীব মানুষের পাশে থাকার জন্য আহবান জানায়। এ ব্যাপারে প্রধান উদ্যোক্তা ষ্টেশন মাষ্টার রেজাউল করিম ডালিম বলেন, প্রথমে রাজা কে আমি ছিন্নমুল মানুষকে খাওয়ানোর জন্য দায়িত্ব প্রদান করি। এবং স্টেশনের অন্যান্য কর্মচারীদের সাহায্য ও সহযোগিতা নিয়ে এইসব ভাসমান মানুষদের ৩ বেলা খাওয়ানোর অব্যহত ছিল। কিন্তু বর্তমান মাহে রমজানের কারণে এখন সেহরি ও ইফতার খাওয়ানো হচ্ছে। তাইতো সংকটময় সময়ে অসহায় মানুষের পাশে সমাজের সকল বিত্তবানরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন এমনটিই তিনি আশা করছেন।