লালমনিরহাটে করোনা পরিস্থিতিতে এবার দরিদ্র কৃৃৃষকদের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী প্রার্থীরা।
শুক্রবার (৮ মে) সকাল ১০টার দিকে কালীগঞ্জ উপজেলার মতাদী ইউনিয়নের কৃষক আবুল কালাম আজাদের দুই বিঘা জমির ধান কাঁটার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু করেন চাকরি প্রত্যাশীরা।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারণে ধান কাঁটার জন্য পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্যই কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার জন্যই কৃষকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০১৮ প্যানেল প্রত্যাশী প্রার্থীরা।
প্যানেল বাস্তবায়ন কমিটির জেলা সভাপতি শাহিন আলম বলেন, জেলার বেশিরভাগ কৃষকরা শ্রমিক সংকটের কারণে ধান কাটতে পারছেন না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশক্রমে আমরা কৃষকের ধান কেটে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রথমধাপে কৃষক আবুল কালাম আজাদের দুই বিঘা জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া হলো। পর্যায়ক্রমে জেলার প্রতিটি গ্রামে দরিদ্র চাষিদের ধান কেটে দিয়ে ঘরে তুলে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই দাবি পূর্বের নিয়োগের মতো ২০১৮ সালের নিয়োগেও প্যানেলের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে আমাদের বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি দিন। ২০১৮ সালে ২৪ লাখ চাকরি প্রার্থীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমরা ৫৫ হাজার ২৯৫ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছি। যা মোট পরীক্ষার্থীর ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ফলে আমাদের যোগ্যতা নিয়ে কোনো সংশয় নেই।
কৃষক আবুল কালাম আজাদ জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে ধান কাটা শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে জমিতে ধান পেকে জমিতেই ঝরে পড়ছে। ঠিক এই সময় তারা এসে আমার দুই বিঘা জমির ধান কেটে দিয়েছে। তাদের আল্লাহ ভালো করবে। তাছাড়াও প্রধানমন্ত্রী কাছে অনুরোধ করছি, তাদের বেকার না রেখে চাকরি দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন।