নিয়ামতপুরে কোন রকম লক্ষন ছাড়াই করোনায় সনাক্তের সংখ্যা বাড়ছে। আক্রান্তদের দেহে এখন পর্যন্ত কোন রকম লক্ষন দৃশ্যমান না হওয়ায় এ নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে জনমনে।
উল্লেখ্য, নিয়ামতপুর উপজেলায় মঙ্গলবার প্রথমবারের মত একদিনেই আট জনের দেহে করোনার অস্তিত্ব মিলার পর বৃহস্পতিবার আবারো নতুনভাবে করোনায় সনাক্ত হয়েছেন আরো দু’জন। এদের কারো দেহেই করোনার কোন লক্ষন ছিলনা, বর্তমানেও নেই। এ নিয়ে নিয়ামতপুরে মোট সনাক্তের সংখ্যা দশজনে দাঁড়ালো। এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পূর্বে তিনি এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, নতুন সনাক্তের দু’জনের মধ্যে একজন রয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নারী স্বাস্থ্য সহকারী। যার বয়স (৪৮) এবং অপরজন পুরুষ, যার বয়স (৪০)। তিনি উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের ধাওল গ্রামের বাসিন্দা।
করোনায় আক্রান্ত ধাওল গ্রামের বাসিন্দা জানান, তিনি স্ত্রী ও এক পুত্র সন্তান নিয়ে ঢাকার সাভার এলাকায় রাজ মিস্ত্রির কাজ করতেন। প্রায় ১৫দিন পূর্বে বাড়িতে এসে তিনি হোম কোয়ারিন্টিনে ছিলেন। ৩ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার বিকালে (৭ মে) তার পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তার দেহে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে এমন সংবাদটি তাকে জানান ইউপি সদস্য ইউসুফ আলী। এমন সংবাদে প্রথমে তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়লেও কোন লক্ষন ছাড়াই এখন পর্যন্ত তিনি সুস্থ্য আছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে যারা গিয়েছিলেন তাদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তিদের পরিবারের লোকজনদের হোম কোয়ারিন্টিনে থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং আক্রান্তরা সবাই সুস্থ্য রয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তিন স্বাস্থ্য সহকারী ও একজন ল্যাব টেকনিসিয়ান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় হাসপাতাল লকডাউন করা হবে কিনা সে ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।