স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার দুই ভারতীয় নাগরিক ও এক স্বাস্থ্যকর্মীসহ চারজন করোনা জয় করেছেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গত ১৮ এপ্রিল এই উপজেলা থেকে ১২ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে চারজনের করোনা শনাক্ত হয়। তাদের মধ্যে তাবলিগ জামাতে আসা ভারতের বিহারের নাগরিক আবদুল মাজিদ, ইব্রার হোসেন এবং পাবনা জেলা থেকে আসা ওমর ফারুকের করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা মো. ফিরোজ মাহমুদেরও করোনা শনাক্ত হয়। তবে তাদের কারও মধ্যেই করোনা উপসর্গ দেখা দেয়নি বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২১ এপ্রিল এ ফলাফল পাওয়ার পর থেকে উপজেলার ফুলখালী গ্রামে অবস্থিত তাবলিগ জামাতের মারকাজে তাবলীগের তিনজন এবং রাঙ্গাবালী ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ওই স্বাস্থ্যকর্মীকে সেলফ আইসোলেশনে রাখা হয়।
পরে গত ২ মে দ্বিতীয় ও ৫ মে তৃতীয় দফায় পুনরায় করোনা শনাক্ত ওই চারজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। দুই দফায় তাদের ফলাফল নেগেটিভ আসে। সর্বশেষ শুক্রবারের ফলাফলের ভিত্তিতে তাদেরকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়।
করোনা জয় করা ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা মো. ফিরোজ মাহমুদ বলেন, 'আমি নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছি। তাই সকলের দোয়ায় আমি সুস্থ হয়েছি।'
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্বে) মনিরুল ইসলাম বলেন, 'রাঙ্গাবালীর আক্রান্ত চারজনের দুই দফায় নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করলে ফলাফল নেগেটিভ আসে। যারফলে তারা করোনামুক্ত। রোববার তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এ পর্যন্ত এখানে ফলোআপসহ ৪২টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়।'
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, 'সত্যিই এটি আমাদের জন্য ভাল খবর যে, আক্রান্ত চারজনই করোনামুক্ত হয়েছেন। তাদের সংস্পর্শে থাকা লোকদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। কিন্তু কারও করোনা শনাক্ত হয়নি, সকলের নেগেটিভ এসেছে।' তিনি আরও বলেন, 'করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্বাস্থ্য বিভাগ জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে।'