নাম মুনতাসির আরাফাত। তিনি কিশোরগঞ্জ জেলার নিকলী উপজেলাধীন হাওড় বেষ্টিত সিংপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত প্রামের বাসিন্দা। পিতা মোঃ কফিল উদ্দিন পেশায় একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
গ্রামে শিক্ষার মান উন্নয়ন ও পিছিয়ে পরা ছেলে মেয়েদের ভবিষৎ সুরক্ষিত রাখতে কিভাবে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিবে সেই স্পৃহা তার ছোট বেলা থেকেই।
মুনতাসির আরাফাত বলেন আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক সৈনিক এবং ওঁর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী। শিক্ষাদানের প্রতি আমার আকুল প্রেম ও অগ্রহ দেখে আমার বাবা এবং আমার তিন চাচা মিলে একটি টিনশেড ঘর তৈরি করে দেন একটি কিন্ডারগার্ডেন তৈরি করে গ্রামের কোমলমতি শিশুদের পাঠদানের জন্য।
জানুয়ারী ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে সিংপুর টিউলিপ কিন্ডারগার্ডেন নামে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি চালু করেন মুনতাসির আরাফাত বর্তমানে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে ছয়জন শিক্ষক ৪০ জন শিশুকে নিয়মিত পাঠদান করছেন নাম মাত্র বেতনে যার অর্ধেক ব্যয়ভার বহন করছেন মুনতাসির আরাফাতের পরিবারবর্গ বাকিটা বহন করছেন শিশুদের অবিভাবকগন। তবে বছর শেষে ২৪ হাজার টাকা কিন্ডারগার্ডেন নির্মিত জায়গার ভাড়া গুনতে হচ্ছে মুনতাসিরের নিজের পকেট হতে।
বাবা মোঃ কফিল উদ্দিন বলেন আমি একজন স্বল্প আয়ের মানুষ। ছেলের আপ্রান প্রচেষ্টা দেখে আমিও অনুপ্রাণিত হয়েছি এই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের লক্ষ্যে আমার পরিবারের পক্ষ থেকে যতটুকু পারি সহযোগীতা করে যাবো ইনশাআল্লাহ্।
এই প্রতিষ্ঠানটি একসময় গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে এমনটাই মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল।