করোনা সহায়তায় হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণকৃত জেনারেল রিলিফ (জিআর) প্রকল্পের চালে কালো কালো এক ধরণের পোকা পাওয়া গেছে। এছাড়া গুদাম থেকে যে চাল সরবরাহ করা হয়েছে তা ডাস্টযুক্ত বলে কয়েকজন হতদরিদ্র অভিযোগ করেন। পোকাওয়ালা চাল নিয়ে কতিপয় চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
শনিবার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটী ইউনিয়নের জিআর প্রকল্পের ৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়। এই চালে পোকার অস্তিত্ব মিলেছে। ঝিনাইদহ সদরের হাটগোপালপুর খাদ্য গুদাম থেকে এই চাল সরবরাহ করা হয় বলে জানা গেছে।
তবে বিষয়টি নিয়ে হাটগোপলপুর খাদ্য সরবরাহ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এলএসডি) মাসুদ রানা জানিয়েছেন তিনি নতুন যোগদান করেছেন। তাই চালের মান নিয়ে কিছুই বলতে পারবেন না। তবে গুদামে রক্ষিত চালের যতœ করার জন্য নিয়মিত স্প্র্রে করা হচ্ছে। আশা করা যায় ভবিষ্যতের চাল ভাল হবে। তিনি বলেন চালের মান ভাল। তবে কিছু বস্তায় পোকা হয়ে গেছে।
সাধুহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন চাউলে পোকা থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, দেখে মনে হচ্ছে চাল গুলো পুরানো, তবে খওয়ার উপযোগী।
হাটগোপলপুর খাদ্য গুদামের সাবেক ওসি এলএসডি মাসুদ রানা জানান, কুমড়াবড়িয়া ও সাধুহাটীসহ ৪ জন ইউপি চেয়ারম্যান চাল উত্তোলন করেছেন। বাকী ১৩টি ইউনয়নের চাল গুদামে আছে। চাল গুলো দ্রুত নিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তিনি বলেন সাধুহাটী ইউনিয়নের যে চাল দেওয়া হয়েছে তা এক বছরের পুরানো হলেন মান ভাল। তিনি বলেন, পোকার হাত থেকে চাল রক্ষার জন্য এখন প্রতিদিন স্প্রে করা হচ্ছে।