লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে নিখোঁজের ৫দিন পর দেড়বছর বয়সী শিশু রাহিমার মৃতদেহ মিলেছে নিজবাড়ির টয়লেটের সেপটি ট্যাংকিতে। শনিবার দুপুর ১২টায় ওই শিশুর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। এরআগে মঙ্গলবার (০৫ মে) দুপুর ১২টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ ইউপির পূর্বরাজাপুর গ্রামের ফয়েজ আহাম্মদ মনুর নতুন বাড়ি থেকে শিশু রাহিমা নিখোঁজ হয় নিশ্চিত করেছেন নিহতের বাবা ফয়েজ আহাম্মদ মনু।
পুলিশ জানান, এটি পরিকল্পিত হত্যা নাকী অন্যকিছু, তদন্ত ছাড়া কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে ঘটনা তদন্তে চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি মো. জসীম উদ্দীন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো আজিজুর রহমানসহ অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত শিশু রাহিমার বাবা ফয়েজ আহাম্মদ মনু ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে পূর্বরাজাপুর গ্রামের ফয়েজ আহাম্মদ মনু ১৮ মাস বয়সী শিশুকন্যা রাহিমা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। দিনভর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজাখুঁজি না পেয়ে রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেন নিখোঁজ শিশুর বাবা ফয়েজ আহাম্মদ মনু। শনিবার সকালে লাশের দুর্গন্ধ পেয়ে টয়লেটের ভাংগা অংশে ঢেকে রাখা টিন উল্টে দেখেন ভিতরে শিশু রাহিমার লাশ পড়ে আছে। পরে চন্দ্রগঞ্জ থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। এদিকে লক্ষ্মীপুরের সিআইডির একটি টিম এসে তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছেন।
চন্দ্রগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন জানান, শিশু রাহিমা নিখোঁজের ৫দিন পর তাদের নিজবাড়ির টয়লেটের সেপটি ট্যাংকিতেই তার মরদেহ পাওয়া যায়। শিশুটি কীভাবে টয়লেটের ট্যাংকিতে ডুকলো, নাকী কেউ হত্যা করে সেখানে লাশ লুকিয়েছে। এসব কিছু জানা যাবে তদন্ত সাপেক্ষে। এবিষয়ে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন আছে বলে ওসি জানান।