চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে প্রায় ১৬ মাস ধরে এক দুঃস্থের ভিজিডির চাল আত্মসাৎ করে আসছিলেন এক মহিলা ইউপি সদস্য। শুক্রবার দুপুরে প্রায় ৩০ কেজি চালের বস্তা তার বাড়ি যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে আটককৃত চাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট জমা দেয় পুলিশ। তিনি হলেন গোমস্তাপুর ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোসলেমা বেগম।
গোমস্তাপুর থানার উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার দুপুরে ডিএসবির সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলামের সহায়তায় ওই চাল রহনপুর -গোমস্তাপুর সড়কের মরিচাডাঙ্গা থেকে আটক করা হয়।
ঘটনায় জানা যায়, গোমস্তাপুর ইউনিয়নের জাহিদনগর গ্রামের সেরাজুল ইসলাম স্ত্রী সাবিনা বেগমের নামে ভিজিডি কার্ড তৈরি করে প্রায় ১৬ মাস ধরে চাল উত্তোলন করে আসছিলেন গোমস্তাপুর ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসলেমা বেগম। যা সুবিধাভোগী সাবিনা বেগম ঘূর্ণাক্ষরে জানতেন না। গত শুক্রবার তার নামের চাল পুলিশের কাছে ধরা পড়ার পর ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়। এদিকে সুবিধাভোগী সাবিনা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার নামে ভিজিডির কার্ড রয়েছে তিনি তা অদৌ জানতেন না।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মহিলা ইউপি সদস্য মোসলেমা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি চাল আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সাবিনার নামে উত্তেলিত চাল তাকে না দিয়ে দুঃস্থদের মাঝে বিতরণ করা হয়। তবে তিনি তার চাল অন্যান্যের মাঝে বিতরণের বিষয়টি সঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন। বিষয়টি সুবিধাভোগী সাবিনাসহ সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান ও এনজিও প্রতিনিধি এবং ট্যাগ কর্মকর্তা অবহিত আছেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে এনজিও প্রতিনিধি নাসির উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ওই ইউনিয়নের ট্যাগ কর্মকর্তা বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী জামিলুর রহমান চাল উত্তোলনে অনিয়মের বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান।
এ প্রসঙ্গে ওই ইউপি চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন মন্ডল জানান, ছবিযুক্ত কার্ডের সুবিধাভোগীকেই চাল দেয়া হয়। পরে চালের কেউ অপব্যবহার করলে তা তার দায়িত্ব।
এ ব্যাপারে তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বরুণ কুমার পাল জানান, ইউএনও মহোদয় বিষয়টি তদন্তের জন্য তাকে নির্দেশ দিয়েছেন। রোববার তদন্তকাজ সম্পন্ন করা হবে। তদন্তের পর জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।