নীলফামারী ডোমার উপজেলায় পৃথক ঘটনায় একদিনে তিন জনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাকিরুল ইসলাম (২৫) নামের এক যুবকের ডোবা হতে, মাহফুজা বেগম (১৮) এক গৃহবধুর গলায় ওড়না পেচানো অবস্থায় ও মোবাশের (৫) নামের এক শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা হতে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
থানা সুত্রে জানা গেছে, রোববার (১০মে) দুপুরে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের লালার খামার এলাকায় রাস্তার ধারে পরিত্যাক্ত ডোবায় এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত্যুদেহ উদ্ধার করে। মৃত্যু ব্যাক্তি ডোমার পৌর এলাকার পূর্ব চিকনমাটি ভাটিয়া পাড়ার আবদুল গনির ছেলে জাকিরুল ইসলাম(২৫)। বাবা আবদুল গনি লাশ দেখে তার ছেলে বলে শনাক্ত করেন।
একই দিনে বিকাল ৩ টার দিকে হরিণচড়া ইউনিয়নের খানাবাড়ী গ্রামে একরামুল হকের বাড়ী থেকে মাহফুজা বেগম(১৮) নামের এক গৃহবধুর মৃত্যুদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকালে শাশুড়ী বউয়ের ঝগড়া হয়। এতে ক্ষোভে রোববার সকাল ১০ টায় পাশবর্তী চাচা শ্বশুড় একরামুল হকের বাড়ীতে সবার অগোচরে গলায় ওড়না পেচিয়ে সে আত্মহত্যা করে।
এদিকে সকালে উপজেলার ভোগড়াবুড়ী ইউনিয়নের একটি বেতবাগান থেকে মুবাশের (৫)নামে এক শিশুর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশ নবম শ্রেনীর ছাত্র সিয়াম হোসেন মিঠুকে আটক করেছে। নিহত শিশুটি পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জ ইউনিয়নের নায়েক পাড়া গ্রামের মো. আলমের ছেলে মোবাশে^র। আটক ছাত্রটি একই গ্রামের আশিকুর রহমানের ছেলে।
ডোমার থানার আফিসার্স ইনচার্জ মো: মোস্তাফিজার রহমান জানান, পৃথক তিনটি ঘটনার আইনি কার্যক্রম চলছে।