সারাদেশে করোনা সংকটের কারণে শেরপুর জেলা হাসপাতালের রোগীর সংখ্যা অনেক কমে গেছে। জুরুরী রোগি গেলেও সিমিত আকারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে রেফার্ড করা হচ্ছে। সেইসাথে কয়েকজন ডাক্তারসহ জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রায় ১৪ জন করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ রেখেছে স্থানীয় সকল ডাক্তার। ফলে হাসপাতালে সাধারণ মানুষ জরুরী স্বাস্থ্য সেবা কিছু টা পেলেও নানা রোগ ও সমস্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দেখাতে পারছে না শত শত ভক্তভোগি রোগি।
এমতাবস্থায় যারা করোনার এ ক্রান্তিকালে অসুস্থ থাকার পরও ডাক্তার দেখাতে পারছেন না তাদের চিকিৎসা সেবা দিতে ইতোমধ্যে চালু হচ্ছে শেরপুর টাইমস টেলি মেডিসিন সেবা। গত ২ মে থেকে ঘরে বসেই ফোন করে বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ। প্রতিদিন রাত ৯ টা থেকে সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত অসুস্থ রোগীদের পালাক্রমে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) শেরপুর শাখার চিকিৎসকগণ।
মিমোজা রিটেইল চেইন শপ এর পৃষ্টপোষকতায় এবং জেলার অনলাইন গণমাধ্যম শেরপুর টাইমস ডটকমের উদ্যোগে ও শেরপুর জেলা পুলিশ, শেরপুর লাইভ, জাগো শেরপুর এর সহায়তায় প্রতিদিন রাত ৯ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত ০৯৬০২ ১১১১৫১ এ নাম্বারে ফোন করে এ স্বাস্থ্যসেবা দেয়া হয়।
গত ৯ মে শনিবার পর্যন্ত ৭ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মধ্যে মেডিসিনের কনসালটেণ্ট সহকারী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাদিম হাসান, অর্থো কনসালটেণ্ট ডা. এ এম মহিউদ্দিন আরিফ, সার্জারি কনসালটেণ্ট ডা. মো. মিজানুর রহমান, গাইনি কনসালটেণ্ট ডা. হাসিনাতুল ফেরদৌস লোপা, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোবারক হোসেন, সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. খাইরুল কবির সুমন ও ডা. মামুন জোস এ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এসব ডাক্তারের কাছে গত ৯ দিনে সেবা নিয়েছেন ১০৭ জন রোগি। আগামী এক মাস নিয়মিতভাবে এ সেবা দেয়ার চিন্তা ভাবনা রয়েছে বলে জানান শেরপুর টাইমস এর নির্বাহী সম্পাদক মহিউদ্দিন সোহেল।
এবিষয়ে জেলার সিভিল সার্জন ডা. একেএম আনোয়ারুর রউফ বলেন, করোনা সংকটের কারণে প্রথম প্রথম ক’দিন জরুরী ও আউট ডোরে রোগির সংখ্যা কম থাকলেও এখন আবারও বড়তে শুরু করেছে এবং হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান আগের চেয়ে অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া আগামী ১২ মের মধ্যে জেলায় আরো ১১ জন নতুন চিকিৎসক যোগদান করবে। তাতে আমাদের স্বাস্থ্য সেবাদান আরো সম্প্রসারিত হবে। এ ছাড়া এই সংকটময় মুহূর্তে টেলিমেডিসিন সেবাকে তিনি সাধুবাদ জানিয়েছেন।