করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় সিংড়ার চলনবিল এলাকায় হাঁসের ডিমের দাম অধেকে নেমে এসেছে। ৫০টাকা হালি ডিম (১১ মে) সোমবার সকালে ২৪ টাকা হালিতে বিক্রি হয়েছে। এতে ডিম উৎপাদন করে লোকসান হওয়ায় চলনবিলের প্রায় শতাধিক খামার মালিকরা বিপাকে পড়েছেন। তবে কম দামে ডিম কিনতে পেরে ক্রেতারা খুশি।
হাঁস খামারিদের সূত্রে জানা যায়, চলনবিল এলাকায় উন্মুক্ত জলাশয়ে হাঁসের দেড় শতাধিক খামার রয়েছে। এসব খামার থেকে প্রতিদিন প্রায় অর্ধলক্ষ হাঁসের ডিম উৎপাদিত হয়। ডিমের চাহিদা থাকায় সব সময় এসব ডিম ৫০টাকা হালিতে বিক্রি হয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ায় ডিমের দাম অর্ধেকে দামে নেমে এসেছে। এতে খামারিদের লোকসান গুণতে হচ্ছে।
সিংড়ার শহরবাড়ি গ্রামের হাঁস খামারি রিপন ও উজ্জ্বল হোসেন বলেন, চলনবিল গেট সংলগ্ন ডিমের আড়তে তারা সপ্তাহে দু’দিন ডিম বিক্রি করেন। আর প্রতি হাটেই এই আড়তে ৪৫ থেকে ৫০টাকা হালি ডিম বিক্রয় হত। কিন্তু করোনা সংক্রমণের কারণে এখন আড়তে ক্রেতা শূন্যতা দেখা দিয়েছে। তাই বাধ্য হয়ে অর্ধেক দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে। অথচ যেখানে অধিক মূল্যে হাঁসের খাদ্য কিনতে হচ্ছে। তারা আরো জানান, ডিম বিক্রি করে খরচের টাকা না ওঠায় খামারিরা চরম বিপাকে পড়েছেন।
ডিম ক্রেতা বালুয়া বাসুয়া মহল্লার বাসিন্দা মো. রানা আহমেদ বলেন, ডিমের দাম অর্ধেকে নেমে আসায় তিনি বাড়ির জন্য ১২০টি ডিম কিনেছেন। তার ডিম কিনতে ৭২০ টাকা লেগেছে। আর অর্ধেক দামে ডিম কিনতে পেরে খুব খুশি।
চলনবিল গেট সংলগ্ন ডিমের আড়তের মালিক মো. রুহুল আমিন বলেন, করোনা সংক্রমণের কারণে গণপরিবহনের স্বল্পতায় পাইকার আসছে না। তাছাড়া অনেক দোকানও বন্ধ রয়েছে। তাই ডিমের দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।