কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামী রতনের হাতে রহিমা খাতুন (৪৭) নামের এক গৃহবধূ খুন হয়েছেন। খুনী রতনকে গ্রেফতার করেছে কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার( ১০ মে) কটিয়াদী উপজেলার মসুয়া ইউনিয়নের মুন্সীপাড়া গ্রামে সকাল সাড়ে ৪ টার দিকে। এ ঘটনার পর কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করেছে। নিহত মহিলা মুন্সীপাড়া গ্রামের রতন মিয়ার স্ত্রী এবং একই ইউনিয়নের বেতাল গ্রামের মৃত মালু মিয়ার মেয়ে। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন হওয়ায় এলাকার আকাশ বাতাস শোকে স্তব্দ হয়ে উঠে। পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার সকাল সাড়ে ৪টার দিকে রহিমা খাতুন সেহেরী শেষে নামাজ পড়ে বিছানায় ঘুমাচ্ছিলেন। তার স্বামী রতন মিয়া হঠাৎ করে ঘরে ব্যবহারকৃত বটি( দা) দিয়ে এলোপাতারি গলায় এবং নাকে-মুখে কুপাতে থাকে। এ সময় ছোট কন্যা মারিয়া চিৎকার করে তার বাবাকে আটকাতে গেলে তাকেও আহত করে ঘাতক রতন। পরে এলাকাবাসী বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মৃত মহিলার লাশ উদ্ধার করে কটিয়াদী মডেল থানায় নিয়ে আসে। এদিকে এ ঘটনার পর রতন মিয়া পালিয়ে গেলেও তাকে পাশ্ববর্তী পাকুন্দিয়া উপজেলার বরুদিয়া ইউনিয়নের দীগাম্বরদী গ্রাম থেকে আটক করা হয়েছে। নিহত রহিমা খাতুনের বড় ছেলে রেদুয়ান আহম্মদ জানান, আমার বাবা মানসিক রোগী। মোবাইল ফোনে জানতে পারি আমার মাকে বাবা দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে আমরা দুই ভাই ঢাকা থেকে বাড়িতে চলে আসি। বাড়িতে এসে শুনি মা সেহরীর খাবার খেয়ে ফজরের নামাজ পড়ে ঘুমিয়ে ছিলন। একই ঘরে থাকা বাবা ঘুমন্ত অবস্থায মাকে দা দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলেছে। মা-বাবার সাথে থাকা ছোট বোন মারিয়া মায়ের চিৎকার শুনে ঘুম থেকে জেগে মাকে বাঁচাতে গেলে সেও আহত হয়। গত রাতেও আমি বাবা ও মার সাথে মোবাইলে কথা বলেছি। তখন বাবা আমার সাথে ভালভাবে কথা বলেনি।