বগুড়ার নন্দীগ্রামে নভেল করোনায় মৃত ব্যক্তিদের জানাযা করতে এজক প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। যদি কোন কারণে করোনাভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয় তাহলে তার দাফন কাফন বিষয়ে প্রাথমিক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত হয়। একই সময়ে সিদ্ধারন্ত হয় যে ,সেই মৃতদেহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় এলাকার পূর্বকুচাইকুড়ি কবরস্থানে দাফন করা হবে।
ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী মুসলমান ব্যক্তি মারা গেলে কাফন, জানাযা ও দাফনের বিধান রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাস ছোঁয়াছে রোগ হওয়ায় বর্তমানে এ ভাইরাস সংক্রমণে কোন মুসলমান মারা গেলে জনসাধারণ তার কাফন, জানাযা ও দাফনে অংশগ্রহণ করতে ভয় পাচ্ছে। তাই করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে কোন মুসলমান মারা গেলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৫ সদস্যের একটি টিম তার কাফন, জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থা করবে।
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী নন্দীগ্রাম উপজেলার কোথাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে মৃতের কবর খনন, কাফন ও জানাযাসহ দাফনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গঠিত টিম। এজন্য সরকারিভাবে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের কবরস্থানের জায়গাও নির্ধারণ করা হয়েছে। নন্দীগ্রাম পৌরসভার পূর্বকুচাইকুড়ি নামক স্থানে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের কবর দেয়া হবে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য তার পাশে কুচাইকুড়ি মহাশ্মশানে স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ৫ সদস্যের টিমকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিদের কাফন, জানাযা ও দাফন করতে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
এ প্রশিক্ষণে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার, থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি সার্বিক)শওকত কবির প্রমুখ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আখতার বলেছেন, করোনাভাইরাসে মৃতদের কাফন, জানাযা ও দাফন টিম গঠন করা হয়েছে। এই উপজেলায় করোনাভাইরাসে কেউ মারা গেলে তার কাফন, জানাযা ও দাফনের ব্যবস্থা করবে গঠিত টিম।