দেশব্যাপি করোনার প্রাদুর্ভাবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয়,কুমিল্লা ও ময়নামতি জাদুঘর এর উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে সালমানপুর এলাকায় ০৪ জন কৃষকের তিনকানি ধানকেটে দিলেন। সামাজিক দায়বদ্ধতা ও দাপ্তরিক করণীয় হিসেবে সোমকার প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয় ও ময়নামতি জাদুঘর কুমিল্লা,অসহায় দরিদ্র কৃষককে ধান কেটে ঘরে তুলার কর্মসূচি- ২০২০ খ্রি. হিসেবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, আঞ্চলিক পরিচালকের কার্যালয় ও ময়নামতি জাদুঘরে কর্মরত প্রায় ২৫ (পঁচিশ) জন দৈনিক শ্রমিকের মাধ্যমে আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোঃ আতাউর রহমান এর নেতৃত্বে ময়নামতি জাদুঘর এলাকায় সালমানপুর গ্রামের ৪ জন কৃষকের প্রায় ৯০ শতাংশ জমির ধান কেটে ঘরে তুলে দেয়া হয়। সকাল ৬.০০ ঘটিকা থেকে বেলা ১১.০০ ঘটিকা পর্যন্ত একটানা এই কর্মসূচি পালন করা হয়। সালমানপুর গ্রামের ৪ জন কৃষক যথাক্রমে- (১) মোঃ মাহবুবুর রহমান, পিতা- মোঃ সালু মোল্লা, (২) মোঃ আবদুর রহমান(৬৫), পিতা- মোঃ ঝাড়ু মিয়া (৩) মোঃ জলিল মিয়া(৬০), পিতা- মোঃ রমিজ উদ্দিন (৪) মোঃ সালু মোল্লা(৭০), পিতা মোঃ আজগর মোল্লা এই কৃষকদের ঘরে স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে তুলে দেয়া হয় ৷ "স্বেচ্ছাশ্রম/বেগারখাটা/ফসল কাঁটার উৎসব " ইত্যাদি গ্রাম বাংলার প্রাচীন এ ঐতিহ্য হিসেবে এধরনের সহযোগিতায় পেটভরে উন্নত খাবারের আয়োজনের প্রচলন থাকলেও 'করোনা' মহামারীর কারণে কৃষক-কাষাণী নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হয়! এহেন পরিস্থিতিতে ধানকাটা শেষে তাদের এই স্বেচ্ছাশ্রমের বিনিময়ে রোজার মাস হিসেবে আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোঃ আতাউর রহমান এর সকলের মাঝে ১ টি করে লেবু ও নগদ ১০০ টাকা সম্মানী তুলে দেয় এবং আগামী পরশুদিন প্রত্নতত্ত্বের এ অনিয়মিত শ্রমিকরা আরো তিন জন কৃষকের তিনকানি ধানকেটে দিবেন মর্মে আগ্রহ প্রকাশ করলে আঞ্চলিক পরিচালক তাদের ধন্যবাদ দিয়ে উপর্যুক্ত কর্মসূচির পরিসমাপ্তি টানেন। উপর্যুক্ত ধানকাটা কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগীয় আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোঃ আতাউর রহমান ও ময়নামতি জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান (অ.দা.) মোঃ হাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মচারিবৃন্দ। ধানকাটা কর্মসূচি সফল ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করার জন্য আঞ্চলিক পরিচালক ড. মোঃ আতাউর রহমান দৈনিক শ্রমিক ও সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদের মাধ্যমে কর্মসূচির পরিসমাপ্তি করেন।