বগুড়ায় এবার চাঁদাবাজীর ঘটনায় হাতে নাতে আটক হলেন বগুড়ার বহুল বিতর্কিত পরিবহন ব্যবসায়ী শাহীন ওরফে ঝটিকা শাহীন।
গ্রেপ্তারকৃত শাহীন ওরফে ঝটিকা শাহীন শহরের কাটনারপাড়া এলাকার ওয়াজেদ আলীর পুত্র।
পুলিশের একটি দায়িত্বশীল জানায়, নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে দেশের কৃষি ক্ষেত্র যখন হুমকীর মুখে। সর্বত্র চলছে শ্রমিক সংকট।ঠিক তখন স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে গত ১০ মে রোববার সন্ধ্যায় নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলা থেকে ধান কাঁটার জন্য ৪৬ জন কৃষি শ্রমিক নিয়ে ড্রাইভার মনির হোসেন ও সুপারভাইজার রতন কুমিল্লার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এর আগে তারা সহকারী কমিশনার ভূমি গোলাম ফেরদৌস ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জলঢাকা নীলফামারী জনাব মোঃ মাহফুজুল হক এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত উপজেলা কৃষি অফিসের কার্যালয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নীলফামারী যাহার স্মারক নম্বর ৬৭৩ মূলে এর সদয় অবগতী এবং অনুমতিক্রমে জলঢাকা নীলফামারী থেকে ৪৬ জন কৃষি শ্রমিক নিয়ে জলঢাকা থেকে সন্ধ্যার পর পরই কুমিল্লার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। রাত্রী আনুমানিক পোনে ১২টার দিকে শ্রমিকদের বহনকারী বাসটি বগুড়া শহরের ঢাকাণ্ডরংপুর মহাসড়কের চারমাথা এলাকায় পৌঁছামাত্রই মোঃ শাহীনুর রহমান শাহীন ওরফে ঝটিকা শাহীন সহ সঙ্গ অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন লোক নিয়ে নীলফামারী থেকে আসা বাসের গতী রোধ করে এবং ড্রাইভার ও সুপার ভাইজার এর কাছে ৫হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
এতে ওই বাসের চালক ও হেলপার চাঁদা দিতে অপারকতা দেখালে আসামি শাহীনুর রহমান ওরফে ঝটিকা শাহীন ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা চাঁদার দাবিতে ড্রাইভার ও সুপারভাইজারকে এলোপাথারী ভাবে মারপিট করে এতে করে সতারা দু’জন আহত হয়। এ সময় বাসে থাকা শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয় এবং শাহীনুর রহমান ওরফে ঝটিকা শাহীন কে আটক করে টহল পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।
এঘটনায় শ্রমিক বহনকারী বাসের চালক ও হেলপারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে উপশহর ফাঁড়ী পুলিশের এসআই আবদুর রহিমকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগের মাধ্যমে অভিযোগটি মামলায় পরিনত করে দ্রুত বিচার আইনে নথি ভুক্ত করা হয়। এদিকে গতকাল গ্রেপ্তারকৃত পরিবহন নেতা শাহীন ওরফে ঝটিকা শাহীনকে আদালতের মাধ্য কারাহাজতে প্রেরন করে পুলিশ।