করোনাকালীন পরিস্থিতিতে দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের করুণ দৃশ্য দেখে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গলাচিপার বাংলাদেশ তুরস্ক ফ্রেন্ডশীপ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী হাসিবুন নাহার সিনহা। তিন বছর ধরে পায়ের নূপুর বানানোর জন্য ৩ হাজার ১৪৫ জমানো টাকা সোমবার গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মো. রফিকুল ইসলামের হাতে তুলে দেয়।
উপজেলার বাংলাদেশ তুরস্ক ফ্রেন্ডশীপ স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী হাসিবুন নাহার সিনহা। সিনহা স্থানীয় সাংবাদিক হারুন অর রশিদ ও রতনদী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা লুৎফুন নাহার এর মেয়ে।
সিনহা বলেন, “লক ডাউনের সময় বাসায় পড়াশুনার ফাকে টেলিভিশন দেখে সময় কাটাই। টিভিতে খবরের মাধ্যমে এবং আমার আশপাশে গরীব মানুষেরা অসহায়ভাবে দিন যাপন করতে দেখি। তারা অনেকে বলেছেন প্রায় না খেয়ে আছেন। তাই পায়ের নূপুর তৈরির জন্য প্রথম শ্রেণি থেকে জমানো ৩হাজার ১৪৫ টাকা অসহায় মানুষদের জন্য দান করলাম। আমার নূপুর পরে হলেও চলবে কিন্তু একজন মানুষ এক বেলা না খেলে কষ্টা পাবে।’
বাংলাদেশ তুরস্ক ফ্রেন্ডশীপ স্কুলের উপাধ্যাক্ষ মো. সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির একজন ছাত্রী নিসহার এমন উদ্যোগে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সত্যিই গর্বিত ও আনন্দিত।
গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ্ মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, অসহায়, দুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী সিনহা অনন্য নজির স্থাপন করেছে। এই শিশুটির কাছ থেকে অনেককিছু শেখার আছে। এটি দেখে সমাজের সকল বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।