করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মোকাদ্দাস হোসেনকে তার পৈত্রিক বাড়ি কুমিল্লার হোমনায় দাফন করা হয়েছে। তিনি হোমনা উপজেলার মাথাভাঙা ইউনিয়নের ডুমুরিয়া সরকার বাড়ির মরহুম ডা. সুলতান মিয়ার তৃতীয় ছেলে ছিলেন। বড় ভাই মোজাম্মেল হক জানান, তিনি লিভার, কিডনি, হার্ট এবং আ্যাজমার সমস্যা থাকায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা করোনা সন্দেহ করেছিলেন। সোমবার রাত আড়াইটার সময় কুর্মিটোলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইন্তেকাল করেন (ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। কিন্তু কোভিড রিপোর্ট পাওয়া এখনো যায় নাই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি স্ত্রী, ভাই ও আত্মীয়স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার কোনো সন্তান সন্তুতি ছিল না।
তার গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়ায় জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়। করোনা দাফন কাফন বিশেষ টিমের সঙ্গে সহায়তা করেছেন উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হোমনা সদর পূর্ব পাড়ার মো. মনিরুজ্জামান টিপু।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাপ্তি চাকমা মৃতের বড় ভাইয়ের বরাত দিয়ে বলেন, লিভার, কিডনি, হার্ট, অ্যাজমার সমস্যা যা করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেন। ডাক্তাররা করোনা সন্দেহ করায় প্রশাসনিকভাবেই করোনার নিয়ম অনুযায়ী বিশেষ টিমের মাধ্যমে দাফন করা হয়েছে।