বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মোতাবেক লকডাউন পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কোভিড- ১৯ দুর্যোগের সময় গর্ভবতী, প্রসূতি মা, নবজাতক এবং কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সেবায় কিশোরগঞ্জে ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (বিসিএস-এফসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পরিবার পরিকল্পনা মা ও শিশু বিষয়ক ভ্রাম্যমান মেডিকেল টীম বুধবার (১৩ মে) দিনব্যাপী জেলা সদরের মহিনন্দ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে সেবা প্রদান করে। এরমধ্যে মহিনন্দের ৫৭ জন ঝুঁকিপুর্ণ গর্ভবর্তী মা, ৩৯ জন কিশোরী, ১০ জন নবজাতক, ১০ জন পপ্রসূতি মাকে চেক আপ ও প্রয়োজনীয় ৫ প্রকারের ওষুধ বিতরণ করা হয়।
ভ্রাম্যমান টীমে অন্যন্যদের মধ্যে রয়েছেন, সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ শফিকুল ইসলাম, কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শফিক উদ্দিন, ডাঃ মোঃ তাহের উদ্দিন,পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক অনিতা রানী সেন, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা শামীমা আক্তার ঝর্ণা, সহ স্বাস্থ্য সহকারী রহিমা খাতুন প্রমুখ।
সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (বিসিএস-এফসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, গত ৪ মে থেকে গঠিত মেডিকেল টীমের মাধ্যমে জেলা সদরের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে গিয়ে আমরা স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে যাচ্ছি। পাশাপাশি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা মোতাবেক করোনাকালে জনসংখ্যা প্রকোপ বৃদ্ধি রোধে, অনাকাঙখিত ও সৌখিন গর্ভধারণে অনুৎসাহিত করণ বিষয়ে লিফলেট বিতরণ করছি। আমাদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
মহিনন্দ ইতিহাস ঐতিহ্য সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি আমিনুল হক সাদী বলেন, সদর উপজেলায় জলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কোভিড- ১৯ দুর্যোগের সময় গর্ভবতী, প্রসূতি মা, নবজাতক এবং কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্য সেবায় কিশোরগঞ্জে ভ্রাম্যমান মেডিকেল টিম মাঠ পর্যায়ের কাজটি খুবই প্রশংসনীয়। করোনা দুর্যোগের ভেতরে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (বিসিএস-এফসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে পরিবার পরিকল্পনা মা ও শিশু বিষয়ক সেবা সকলের দৃষ্টি কেড়েছে।