বেদে সম্প্রদায়, নৌকাতে যাদের জীবনযাপন, আর জীবিকা উপার্জন। এই বঙ্গদেশে বেদে সম্প্রদায়ের লোকেরা ঘুরে ঘুরে তাবিজ কবজ বিক্রি করে বেড়াতো। ওরা বাতের ব্যথা নিরাময় করার জন্য মানুষের হাত পা কেটে, সিঙ্গা লাগিয়ে রক্ত চুষে আনতো। মানুষ ওদের ওই পদ্ধতিতে বিশ্বাসী ছিল। কিছুকিছু মানুষ এখনো আছে, বেদেদের চিকিৎসায় বিশ্বাসী। কিন্তু বেদেদের চিকিৎসায় বিশ্বাসী আগের মতন এত লোক আর নেই। তাই বেদেরাও বসে নেই। বেদে সম্প্রদায়ের লোকেরা অনুসরণ করছে অন্য পন্থা। তাঁরা এখন বেছে নিয়েছে অন্যরকমভাবে কামাই রোজগারে পথ।
তাদের মধ্যে কেউ কেউ ওইসব চিকিৎসা বাদ দিয়ে বহুরকম কাজ করেও দিনাতিপাত করছে। কেউ আবার বাপদাদার ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ঢাকার সাভার থেকে আসা বগুড়ার শেরপুরের ছোনকা এলাকায় বসবাস রত বেদেরা করোনার প্রভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা। করোনার প্রভাবে আরো বেশি অসহায় হয়ে পরেছে পরিবারগুলো। কোনো আর্থিক বা খাদ্যসামগ্রীর সহায়তা জোটেনি তাদের কপালে তেমন। ৩৫ টি পরিবার খুব অসহায় জীবন যাপন করছেন বলে জানান তারা।
বেদে পল্লীর বাসিন্দা মুকবিল হোসেন বলেন, আমরা করোনার কারণে কর্মহীন হয়ে গেছি। আমরা মূলত মাছ শিকার করে আয়-রোজগার করি। কিন্তু করোনা আসার পর থেকে মাছ শিকার করি না,মানুষ এখন মাছ কিনতে চায় না। কম দামে বিক্রি করতে হয়। আমাদের শেরপুর থানা থেকে একবার সহযোগীতা করেছে যা অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। খুবি কষ্টে আছি পরিবার নিয়ে।
আমরা এখনো কোনো সরকারি ত্রাণ পাইনি। আর পাবো কী না জানি না।
মানুষ মানুষের জন্য এই বিপদের সময় মানুষই পারে একজন মানুষ কে বাঁচাতে। তাই এই বেদে পল্লীর মানুষদের পাশে এসে দাড়ানোর কথা সমাজের বিত্তবাণদের বলে মনে করছে সুধী মহল।