তানোরে করোনায় জনগনের সেবায় নিজের ঘর ছেড়ে পৌরসভায় দিন-রাত্রি অবস্থান করছেন মেয়র মিজান। এনিয়ে পৌর এলাকার জনসাধারন ও সচেতন মহল মেয়র মিজানকে পৌর বাসির মানবতার ফেরিওয়ালার উপাধি দেয়ার পাশাপাশি করোনার লড়াকু নির্ভিক যোদ্ধা বলেও ডাকছেন অনেকেই। তবে, এসব উপাধি’র কোনটাই চান না মেয়র মিজান। তিনি বলছেন, পৌর বাসির (খাদেম) সেবক ও বন্ধু হয়ে পাশে থাকতে চাই, তিনি বলেন, এই দুর্যোগ মুহুর্তে পৌর বাসীর সুখে দুখে সব সময় পাশে থাকতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, সারা দেশের জনগন ও জনপ্রতিনিধি’র মত তানোর উপজেলার জনগন ও জনপ্রতিনিধিরা যখন স্ব ঘোষিত লকডাউনে ঘরে অবস্থান করছেন। ঠিক তখনই নিজের জীবনের ঝুকি নিয়ে পরিবার পরিজন ছেড়ে জনগনের সেবার মনোভাব নিয়ে দিন-রাত্রি ২৪ঘন্টায় পৌর কার্যালয়েই অবস্থান করছেন তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান।
পৌরবাসী বলছেন, করোনার পাদুর্ভাব শুরুর পর থেকেই পরিবার পরিজনকে বাড়িতে রেখে পৌর কার্যালয়েই অবস্থান করছেন। তিনি দিন-রাত ছুটতে শুরু করেন পৌর এলাকার এই পান্ত থেকে ওই পান্ত পর্যন্ত। একজন করোনা যোদ্ধা হিসাবে দিন-রাত জনগণের পাশে স্বাস্থ্য সুরক্ষা, খাদ্য ও সচেতনতা তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। বিভিন্œ সড়ক ও গুরুত্ত পূর্ন স্থাণে জীবানু নাশক স্প্রে করা থেকে শুরু করে, করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া চায়ের দোকানদার, সেলুন মালিক, মটরসাইকেল গ্যারেজের মেকার, ভ্যান ও ভুটভুটি চালক থেকে শুরু করে ৩য় লুঙ্গের জনগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশায় মানুষকে ব্যাক্তিগত তহবিল থেকে বিভিন্ন প্রকার খাদ্য সহায়তা করে যাছেন। সেই সাথে সরকারের জি আর প্রকল্পের চাল সঠিক ভাবে এবং যোগ্য ব্যাক্তিদের প্রাপ্ততা নিশ্চিত করেছেন। এসব বিতরনে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে তিনি সকাল ৬টা থেকেই বিতরন শুরু করতেন। এসব কাজ সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করায় তিনি (মেয়র মিজান) দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বলছেন পৌর কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা/কর্মচারীসহ পৌরবাসী।
পৌরবাসী বলছেন, মেয়র মিজান বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র, অর্ধাহারে ও অনাহারে থাকা পরিবারের কাছে রাতের আঁধারে হঠাৎ হাজির হয়ে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিয়েছেন। সম্প্রতি তিনি জিআর চালের সাথে হতদরিদ্রদের বিভিন্ন প্রকার সবজি দিয়ে সকলের কাছে আলোচিত হয়ে উঠেছেন মেয়র মিজান। এলাকাবাসী বলছেন, জনগণকে সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানে ও ত্রাণ কার্যক্রম মনিটরিং করতে নিজ বাসায় আদরের সন্তাান ও স্ত্রীকে রেখে নিজে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পৌরসভা কার্যালয়ে সার্বক্ষণিক অবস্থান করছেন। মেয়রের এমন কমর্কান্ডে পৌরবাসী মানবতারর ফেরিওয়ালা নাম দিয়েছেন মিজানুর রহমানকে। অন্য জনপ্রতিনিদেরকে দেখা যাচ্ছেনা বলেও জানান জনসাধারন। তবে, কোন কোন জনপ্রতিনিধি মাঝে মাঝে ভু মেরে এসে ফেইস বুকে ছবি দিয়ে আবার ঘরে ঢুকে যাচ্ছেন, আবার কেউ কেউ জনপ্রতিনিধি হওয়ার জন্য ডাকঢোল পিটিয়ে বাহারী সাজে এলাকায় এসে চোষে বেড়াচ্ছিলেন করোনার প্রাদুর্ভারের পর থেকে সেই নেতাদেরও এলাকায় আর দেখা যায়নি।
এব্যাপারে তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান মিজান বলেন, জনগনই আমার সব জনগনের ভালোবাসা দিয়ে তাদের পার্শে থাকতে চাই। তিনি বলেন ‘প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের বরাদ্দের পাশাপাশি তিনি নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে ত্রাণ তহবিল গঠন করে বিভিন্ন পেশার বেকার হওয়া মানুষকে সহায়তা দিয়ে তাধের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, ত্রাণ বিতরণ ব্যবস্থা অব্যাহত রয়েছে, বিরোধী মতাদশের হওয়া সত্ত্বেও শত চাপ ও বাধার পরেও জনগণের সেবা করে যাচ্ছি, যা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।