করোনা ভাইরাসের প্রভাবে কর্মহীন হয়ে পড়া নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কৃষকদের মুখে হাঁসি ফিরে আসে চলতি বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলনে। তবে সেই হাঁসি আবারো ম্লান করে দিয়েছে ধানের নেক ব্লাস্ট রোগ। এ রোগে কোন কৃষককের আংশিক আবার কারো কারো ক্ষেতের বড় অংশের ধান চিটা হয়ে গেছে। কৃষকরা কৃষি কর্মকর্তাদের পাশ্বে না পাওয়ার অভিযোগ করলেও কৃষি দপ্তর কৃষকদের সকল ধরনের সহযোগীতা করেছে বলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান।
উপজেলার খামার বামুনিয়া এলাকার মতিউর রহমান বুলেট বলেন, আমি এবার ছয় বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছি। এরমধ্যে আড়াই বিঘা জমির ধান শতকরা ৮০ ভাগ ব্লাস্ট রোগে চিটা হয়ে গেছে। ওই এলাকার শাহিনুর রহমান, হবিবর রহমান, আলম হোসেন জানান, তাদের জমিতে নেক ব্লাস্ট রোগে ধান চিটা হয়ে গেছে। তারা কৃষি কর্মকর্তাদের এ রোগের কথা জানালে, কৃষি কর্মকর্তারা ধান ক্ষেতে না গিয়ে দুইটি ওষুধ স্প্রে করতে বলে। স্প্রে করার পর নেক ব্লাষ্টের আক্রোমন আরো বেড়ে যায়।
আন্ধারুর মোড় এলাকার কৃষক মো: নাজিমুদ্দিন জানান, ধানে ব্লাস্ট রোগ দেখা দেওয়ায় চিন্তায় পড়ে যাই। তাই ধানে সামান্য পাক ধারতেই ধান কেটে নেই। এতে যা পাবো তাই লাভ।
বসুনিয়া এলাকার কৃষক মো: মোসলেম উদ্দিন জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে প্রায় দুই মাস ধরে কোন কাজ করতে পারি না। এবারে ধানের বাম্পার ফলনে আমরা কৃষকদের মুখে কিছুটা হাঁসি ফোটে। তবে নেক ব্লাস্ট রোগে ধান চিটা হয়ে যাচ্ছে। কৃষি কর্মকর্তারা যদি তদারকি করে অঅমাদের কৃষকদের পরামর্শ দিত, তাহলে হয়তো এ রোগ সেভাবে বিস্তার করতে পারতো না।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবীদ আনিছুজ্জামান জানান, করোনা মহামারির সময়ও আমরা কৃষকদের সকল ধরনের পরামর্শ দিচ্ছি। কিছু জায়গায় নেক ব্লাস্ট রোগ আক্রমণ করেছে। কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের চেষ্টায় আমরা তা নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়েছি। নেক ব্লাস্ট শুধুমাত্র ব্রি ধান-২৮ জাতে আক্রমণ করে। কৃষি দপ্তরের পক্ষ হতে আমরা এ জাতের ধান চাষে নিরুসাহিত করে অন্যান্যা উচ্চ ফলনশীল ধান চাষের পরামর্শ দেই।
প্রসঙ্গত, এ উপজেলায় মোট ১৩ হাজার এক শথ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ হয়েছে।