কুমিল্লার মুরাদনগরে দ্রুত করোনার বিস্তার লাভ করছে। বুধবার একই পরিবারের ৫ জনসহ ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে। ৩ পরিবারেই ১৯ জনসহ উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯’র কোঠায়। তবে ১ জন মারা গেলেও স্বস্তির খবর হলো দু’জন রোগি সম্পূর্ণ সুস্থ্য হয়েছে। চিকিৎসা নেওয়া ৫ ফার্মেসীসহ তাদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ নাজমুল আলম।
জানা যায়, বুধবার উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের উত্তর ত্রিশ গ্রামে একই পরিবারের ৫ জনসহ ১০জন রোগি সনাক্ত হয়। অন্যরা হলেন, রহিমপুর গ্রামের ১ জন, পাহাড়পুর ইউনিয়নের সুরানন্দি গ্রামের ২ জন, মুরাদনগর সদরের মোহনা আবাসিক এলাকার ১ জন ও নাগেরকান্দি গ্রামের মৃত নাছির আহম্মেদ।
এ দিকে উপজেলার রামচন্দ্রপুর উত্তর ইউনিয়নের কাঠালিয়াকান্দা গ্রামে প্রথম করোনা রোগি সনাক্ত হয়। পরে ওই পরিবারসহ ১৭ জনের নমুনা পাঠালে একই পরিবারের ৪ জনের ফলাফল পজেটিভ আসে। যার ফলে ওই পরিবারে অক্রান্তের সংখ্যা দাড়ায় ৫ জন।
অপর দিকে উপজেলার নবীপুর পূর্ব ইউনিয়নের বাখরনগর গ্রামে একই পরিবারের দু’বোন করোনা রোগি সনাক্ত হয়। পরে ওই পরিবারসহ আশ-পাশের ২১ জনের নমুনা পাঠালে শনিবার সকালে (৯ এপ্রিল) একই পরিবারের ৭ জনের ফলাফল পজেটিভ আসে। যার ফলে ওই পরিবারে অক্রান্তের সংখ্যা দাড়ায় ৯ জন।
কাঠালিয়াকান্দা, বাখরনগর ও উত্তর ত্রিশ গ্রামে ৩ পরিবারে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৯ জন। তাছাড়াও রামচন্দ্রপুরে একজন, পাহাড়পুর ইউনিয়নের পান্তি গ্রামে একজন, সুরানন্দি গ্রামে একজন, দারোরা ইউনিয়নের কাজিয়াতল গ্রামে একজন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তার মেয়ে একজনসহ মুরাদনগর উপজেলায় মোট করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২৯ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ নাজমুল আলম বলেন, ৩ পরিবারে ১৯ জনসহ উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ জন। এ পর্যন্ত মারা গেছে মাত্র ১ জন, তবে দু’জন রোগি সুস্থ্য হয়েছে। অন্যরা বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছে। চিকিৎসা নেওয়া কোম্পানীগঞ্জ বাজারের গ্রামীন ও গ্রীণ ফার্মেসী, মুরাদনগর বাজারের মহসীন, হাজী ও মা রাজিয়া ফার্মেসীসহ আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।