বগুড়ায় গরমের দাবদাহ ও রমজানেও থেমে নেই বিদ্যুতের বিড়ম্বনা । বিদ্যুতের যাওয়া আসার বিড়ম্বনার সাথে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের মিথ্যাচার গ্রাহকদের সাথে খারাপ আচরন এবং বিদ্যূত বিভাগের সেচ্ছাচারিতা সর্ব সাধারন মানুষের মধ্য অসন্তোষ বিরাজ করছে।
করোনা ভাইরাসের নীল থাবার গোটা দেশটা যখন অদৃশ্য শক্রর সাথে লড়ে যাচ্ছে তখনও বিদ্যুতের যন্ত্রনা থেকে পরিত্যান্ত মিলছেনা বগুড়াবাসীর। সংশ্লিষ্ট বিদ্যুত বিভাগের দায়িত্বশীলদের সেচ্ছাচারিতা এবং কর্তব্য পালনে অনিহা গাফিলতির কারনে বগুড়া সহ আশ পাসের এলাকায় বিদ্যুতের ভোগান্তি এখন যন্ত্রনায় পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে বিদ্যুত বিপনন -২ এর দূর্বল বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থা এবং সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলীর আন্তরিকতা ও চৌকশতার অভাব আচরন এখন মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ছড়িয়ে দিয়েছে। অভিযোগ রয়েছে বিদ্যুত বিভাগের দায়িত্বশীলদের অবহেলা এবং তত্বাবধায়কের কোন জবাবদেহীতা না থাকায় বগুড়ার বিদ্যুত বিভাগের অবস্থা এখন হযবরল ।
যানা গেছে, দেশ ব্যাপী লকডাউনের আওতায় সকল কলকারখানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ তখন বগুড়া শহর ও তার আশ পাশের এলাকায় বিদ্যুতের নিয়মিত ভেলকিবাজীতে পরিনত হয়েছে। পবিত্র রোজায় শেহরী ইফতারের সময়েও বিদ্যুত তার ছন্দ হারিয়ে ফেলছেন । বিশেষ করে বিগত কয়েক বছরের পর বছর বগুড়ার বিদ্যুত বিপনন বিভাগ- ২ এর উন্নয়ন ব্যবস্থার ধীরগতী এবং বর্তমান দায়িত্বশীল নির্বাহী কর্মকর্তার আচরনে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন হাজার হাজার গ্রাহকবৃন্দ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়া নেসকোর ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ বিপনন কেন্দ্র-২ এর আওতায় প্রায় ৫০হাজার গ্রাহক সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের গরমসি ও অবহেলার কারনে সপ্তাহে অন্তত ৪/৫দিন এখন বিদ্যুত বিভ্রাটের কবলে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। দীর্ঘ দিন যাবত উন্নয়নের নামে,রক্ষনাবেক্ষনের অজুহাত দিয়ে দিনের পর দিন এবং ঘন্টার পর ঘন্টা গ্রহকরা বিদ্যুত বঞ্চিত থাকছেন।
করনো ভাইরাসের কারনে মিল কল কারখানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ । নিজেদের রক্ষা পেতে মানুষগুলো যখন ঘড় বন্দি তখনও বগুড়ায় বিদ্যুতের যাওয়া আর আসাই শুধু নয় বিদ্যুতের ভোল্টেজ বিড়ম্বনা কবলে পড়েছেন গ্রাহকরা ।
বিদ্যুতের যাওয়া আর আসা , ভোল্টেজের ওঠা আর নামার কারনে মানুষের বাসা বাড়ীতে ব্যবহৃত মূল্যবান ইলেকট্রনিকস সামগ্রী এখন মারাত্বক হুমকীর মুখে পড়েছে। বিদ্যুতের ওঠা নামা এবং সময় সময় ল্যু ভোল্টেজের কারনে বাসা বাড়ীতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ফ্রিজ,রেফিজারেটর, ওভেন টিভি ফ্যান সহ । অন্যদিকে বিদ্যুতের যাওয়া আর আসা এবং ভোল্টেজের ওঠা নামার বিষয়ে বিভাগের অভিযোগ কেন্দ্র কিম্বা নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে সেবার দাবী করলেও উল্টা মানুষজনকে তাচ্ছিল ,কটু কথা শুনতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এ বিষয়ে নজরদারী বৃদ্ধি সহ জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।