পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরের এক মাছ বিক্রেতার শরীরে বুধবার রাতে করোনা সনাক্ত হওয়ায় সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ১৪ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসায় কলাপাড়া ৫০ শয্যা হাসপাতালের চার চিকিৎসক, চার সেবিকা ও সাত কর্মচারীকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাকবাংলোতে পৃথক আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ চিন্ময় হাওলাদার।
বুধবার রাতে পঞ্চাশোর্ধ ওই মাছ বিক্রেতার শরীরে করোনা সনাক্তের পরপরই তার বাড়ি সহ পৌর শহরের নাচনাপাড়া সড়ক ও ১০ টি বাড়ি এবং বৃহস্পতিবার সকালে করোনা পজেটিভ ওই মাছ বিক্রেতার সংস্পর্শে থেকে মাছ বিক্রি করা অন্য মাছ বিক্রেতাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য মাছ বাজার ও নাইয়াপট্রি এলাকাও লকডাউন করেছে প্রশাসন।
কলাপাড়া হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, আক্রান্ত ওই ব্যক্তি কলাপাড়া পৌর শহরের একজন মাছ ব্যবসায়ী। গত ১০ মে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে সে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হয়। ১১ মে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ১২ মে দ্রুত তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়। সে এখন সেখানকার করোনা ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) চিন্ময় হাওলাদার বলেন, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার সময় ওই ব্যক্তির করোনা পজিটিভ হওয়ার খবরটি আমাদের জানানো হয়েছে। এরপরই ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা কলাপাড়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ জেএইচ খান লেলিন, ডাঃ রেফায়েত হোসাইন, ডাঃ অনুপ চন্দ্র দাস ও ডাঃ সায়মা সুলতানাসহ চার সেবিকা ও সাত কর্মচারীকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহিদুল হক বলেন, করোনা পজেটিভ হওয়ার সংবাদ পাওয়ার পরই নাচনাপাড়া এলাকা লকডাউন করা হয়েছে। বন্দর ব্যবসায়ী ও পৌর কর্তৃপক্ষ ১৪ দিনের জন্য ঔষধের দোকান ব্যতিত সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে। এছাড়া ওই ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা সকলের নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।